জোরদার হলো কম্বিং অপারেশন ‘আইরিন’
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধে অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক কম্বিং অপারেশন ‘আইরিন’। গতকাল শুক্রবার থেকে এ অভিযান জোরদার করা হয়েছে। কাস্টমস গোয়েন্দা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ছাড়াও এ অভিযান চলবে আসিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৩৩টি দেশে। আন্তর্জাতিক পরিম-লে সন্ত্রাসী হামলাসহ নাশকতামূলক কর্মকা- প্রতিরোধে ‘এনফোর্সমেন্ট কমিটি অব দ্য কাস্টমস অপারেশন কাউন্সিল’-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতর সূত্র জানায়, বাংলাদেশসহ দেশে দেশে সন্ত্রাসী হামলার কারণে জননিরাপত্তা বিঘিœত হওয়া ছাড়াও সামাজিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘœকারী এসব কর্মকা-ের সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক ও মাদক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। অনেক ক্ষেত্রেই মিথ্যা ঘোষণা ও ঘোষণা ছাড়া চোরাকারবারীরা নানা কৌশলে এসব অবৈধ পণ্যের পাচার করছে।
গত তিন বছরে বিভিন্ন দেশের কাস্টমস প্রশাসন হাজারেরও বেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকের চালান আটক করেছে। ‘এনফোর্সমেন্ট কমিটি অব দ্য কাস্টমস অপারেশন কাউন্সিল’-এর পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ ধরনের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।
ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) অধীনে ‘রিজিওনাল ইন্টেলিজেন্স লিয়াজোঁ অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’ এ অভিযানের সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছে। বাংলাদেশ এ সংগঠনের সক্রিয় সদস্য হিসাবে ‘অপারেশন আইরিন’ নামের অভিযানে অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট ন্যাশনাল কনট্যাক্ট পয়েন্ট (এনসিপি)-এর সদস্য হিসাবে অভিযানের বিষয়টি সার্বিকভাবে সমন্বয় করছে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এ অভিযানের অংশ হিসাবে পোস্টাল এবং কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে নিয়ে আসা পার্সেলগুলোর স্ক্যান কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
অপারেশন আইরিন-এর অংশ হিসাবে গত ৮ জুলাই থেকে কাস্টমসের কয়েকটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে আসছিল। অভিযানটি আরও জোরদার করার লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার থেকে র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ সকল সংস্থার সদস্যদের সহযোগিতা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম