ট্রাককে ‘সন্ত্রাসবাদী’ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার এবারই প্রথম নয়
ডেস্ক রিপোর্ট : বিভিন্ন দেশে ট্রাকভর্তি বোমা নিয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা খুব পরিচিত এবং উদ্বেগের। কিন্তু ট্রাক নিজেই যদি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহৃত হয় তখন হয়তো উদ্বেগটা আরও বেড়েই যায়। বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের নিস শহরে বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চালিয়ে বাস্তিল দিবস উদযাপনস্থলে হামলার পর ট্রাকহামলার প্রসঙ্গটি নতুন করে সামনে এসেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে ট্রাকচাপা বা গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে নতুন না হলেও ১৪ জুলাইয়ের হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা একইধরনের পূর্ববর্তী হামলাগুলোর চেয়ে বেশি। সূত্র: সিএনএন
বিশ্বের কোথায় কোথায় ট্রাকহামলার নজির রয়েছে? এ ধরনের হামলার কৌশল কারা ব্যবহার করে থাকে? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর এক বিশ্লেষণে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের জিহাদিরা সাধারণত এ ধরনের হামলা চালিয়ে থাকে। ২০১০ সালে আল কায়েদার ইয়েমেন শাখা তাদের ওয়েব ম্যাগাজিনে দেওয়া নিবন্ধে ট্রাককে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের অনুসারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। পিকআপ ট্রাককে ঘাস কাটার যন্ত্রের মতো করে ব্যবহার করতে বলা হয়েছিল। তবে সে পিকআপ ট্রাক দিয়ে ঘাস কাটা নয়, ‘আল্লাহর শত্রুদের উপড়ে ফেলার’ আহ্বান জানানো হয়েছিল।
২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আইএস-এর মুখপাত্র একই ধরনের হামলার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। আইএসের শত্রুদের গাড়িচাপা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।
এর এক মাস পর অর্থাৎ ২০১৪ সালের ২০ অক্টোবরে তুরস্ক হয়ে সিরিয়ায় যাওয়ার এবং আইএসে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন কানাডীয় নাগরিক মার্টিন রৌলিউ কৌচুরে। কুইবেকে দুই সেনা সদস্যকে গাড়িচাপা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ওই তিন জনের একজন নিহত এবং বাকিজন আহত হন।
২০১৪ সালে ফ্রান্সের নান্তেস ও ডিজনে একই ধরনের দুটি হামলা হয়। বিবিসির তথ্য অনুযায়ী, ওই দুটি ঘটনায়ই হামলাকারীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের মানসিক অসুস্থতা ধরা পড়েছিল।
একই ধরনের কৌশল যুক্তরাষ্ট্রেও ব্যবহৃত হয়েছে। ২০০৬ সালে, মোহাম্মদ তাহেরি-আজার নামের এক মার্কিন-ইরানি চ্যাপেল হিলে নর্থ ক্যারোলাইনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাড়ি নিয়ে হামলা চালায়। ওই হামলায় কেউ নিহত না হলেও নয়জন আহত হন।
এক বছর পর ইরাক যুদ্ধের বিরোধিতা করে দুই ব্রিটিশ নাগরিক গ্লাসগো বিমানবন্দরের প্রবেশ পথে একটি জিপ নিয়ে ছুটোছুটি শুরু করে। তবে ওই ঘটনায়ও কেউ নিহত হয়নি। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম