ফ্রান্সে বাংলাদেশি হতাহতের খবর মেলেনি, হেল্প ডেস্ক চালু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্রান্সের নিস শহরের হামলায় এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বাংলাদেশী নাগরিকদের খোঁজ-খবর নিতে এবং তাদের প্রয়োজনীয় সাহায্য দিতে প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসে হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম।
ফরাসিদের বাস্তিল দিবসে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় নিস শহরে বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) ট্রাক হামলার পরপরই এ হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়। এ পর্যন্ত ৮৪ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, হামলার স্বীকার নিস শহরে কোনো বাংলাদেশি বসবাস করেন না। তারপরও হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে কোনো বাংলাদেশির খোঁজ পাওয়া গেলে দূতাবাসের হেল্প ডেস্কে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে নিস শহরের সমুদ্র পাড়ে জাতীয় দিবস উপলক্ষে আতসবাজি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে পুলিশ ফাঁড়ি ভেঙে প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে একটি লরি নিয়ে হামলাকারী জনসমাগমে ঢুকে পড়ে। এবং গাড়ি চলন্ত অবস্থায় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। খবর বিবিসি’র
সমুদ্র তীরের রাস্তার ১ দশমিক ২ কিলোমিটার যেতে যেতে গুলি ও গাড়ির নিচে চাপা পড়ে তাৎক্ষণিক ৭০ জনের মতো নিহত হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুমিছিল ৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়।
পুলিশ হামলাকারীর গাড়ি থেকে ৩১ বছরের এক তিউনিশিয়ান ফরাসী নাগরিকের পরিচয় পত্র, গোলাবারুদ, আগ্নেয়াস্ত্র এবং গ্রেনেড উদ্ধার করেছে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী পুলিশকে জানিয়েছেন, হামলাকারীর গাড়িতে আরও তিনজন ছিল বলে তিনি দেখেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এই হামলায় মোট কতজন লোক অংশগ্রহণ করেছে তা প্রশাসন জানায়নি। টেরোরিজম প্রসিকিউটর অব প্যারিস, ডিজিএসআই এবং এসডিএটি হামলার কারণ ও রহস্য খুঁজতে কাজ শুরু করেছে।
ঘটনার সাথে সাথে ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ভেরনার্ড কার্জনেবো নিস শহরে পৌঁছান এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের সভা শেষে নিসের পথে যাত্রা করবেন।
এর আগে ফ্রান্স সময় রাত তিনটা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়াঁ ওলাদ এ হামলাকে সন্ত্রাসী হামলা উল্লেখ করে ফ্রান্সের চলমান জরুরি অবস্থা আরও তিন মাস বাড়ানোর ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ধর্মান্ধদের কাছে সাধারণ মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। নিহত ও তাদের স্বজনদের সাথে ফরাসী কর্তৃপক্ষ সমব্যাথি। তিনি সিরিয়া ও ইরাকে আরও জোরদার আক্রমণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন তার বক্তব্যে। সম্পাদনা : হাসান আরিফ