স্বর্গ বয়ানের বাকিটা
যায়নুদ্দিন সানী
নিয়ম সম্ভবত যে পরিমাণ কেনাকাটা হয়েছে, তার ওপর কমিশন। সেই হিসাবটা চলছে বিধায় একটু দেরি হচ্ছে। ট্যুরিস্টরা সম্ভবত সবাই একই গোয়ালের গরু। আর এই গরু কিসিমের লোকেরা ঠিক কি কি কথায় কুপোকাত হয়, সেটাও সম্ভবত এসব দোকানিরা জানে।
অবশেষে আমাদের যাত্রা পুনরায় শুরু হলো। পথে আরও যেসব জায়গায় থামা যায়, তার বিবরণ দিল আমাদের ড্রাইভার। ট্যুরিস্টবাহিনী সাধারণত আরও দুটো ব্যাপারে আকর্ষণ বোধ করে। একটি হচ্ছে ক্রিকেট ব্যাট আর অন্যটি হচ্ছে ‘শুকনো ফল’। কাশ্মীরী উইলো কাঠে তৈরি ক্রিকেট ব্যাটের ফ্যাক্টরি এখানে রাস্তার দুপাশে ভর্তি। প্রায় সব দোকানেই ঝুলছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ব্যাট। কোনটা সত্যিকারের সেই কোম্পানির ব্যাট, তা নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। যেহেতু আমাদের ভিতর কেউ ক্রিকেট ব্যাট কিনতে উৎসাহ দেখাল না, তাই সেসব দোকানগুলোতে থামা হলো না। বাস থেকে কিছু ছবি তুলে নিলাম। ‘ড্রাইড ফ্রুটে’র ব্যাপারে সকলের বক্তব্য হলো, ‘ফেরার সময়’। ফলে আমরা দ্রুত এগিয়ে যেতে থাকলাম। পাহাড়ি পথে যেমনটা হয়, একদিকে পাহাড়, অন্যদিকে খাদ। তবে কিছুদূর যাওয়ার পরে, একদিকে পাহাড় থাকলেও অন্যদিকে দেখা মিলল নদীর। লিডার নদী। এই উপত্যকার নামও লিডার উপত্যকা। সোনামার্গের কাছে কোলোহই হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে গুরনার খানাবালে ঝিলাম নদীর সঙ্গে মিলেছে এই নদী। পাথরের ওপর দিয়ে বোয়ে যাওয়া এই নদী দেখে অনেকের নামবার শখ হলো।
লেখক : চিকিৎসক ও কলামিস্ট
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন