বছিলা গরুরহাট, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নভঙ্গ
রবিউল আলম
প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নÑ সুন্দর ও মনোরম পরিবেশের সুন্দর একটি ঢাকা উপহার দেওয়া, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধের পবিত্রতা রক্ষা করা, রায়ের বাজার কবরস্থানকে আবর্জনামুক্ত রাখাÑ তার এ স্বপ্ন ও অঙ্গিকার আজ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। রায়ের বাজার শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এশিয়ার বৃহত্তম। একটি পবিত্র স্থান। অথচ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ, বছিলা ব্রিজ ও বছিলা রাস্তা বন্ধ করে গরুর হাট দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো সরকারি বা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব জমি নেই, মাঠও নেই। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও কিসের ভিত্তিতে বছিলায় গরুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, জানি না। এই গরুরহাটÑ কবরস্থানের সীমানায় ঘেরা। শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা সত্ত্বেও বছিলা রাস্তা বন্ধ করে গরুর হাট বরাদ্দ দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। বরাদ্দ দেওয়ার আগে জনস্বার্থ বিবেচনা না করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিকে অবহিত না করে বিব্রত করা হয়েছে। স্থানীয় এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক একজন তৃণমূলের রাজনৈতিক নেতা, জনগণের দুর্দশায় তিনি নিজেই বিব্রত হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নভঙ্গ হোক, রায়ের বাজার পবিত্র স্থানগুলোর পবিত্রতা নষ্ট হোক তিনি নিশ্চয়ই এমনটি চাইবেন না। ব্যক্তিগতভাবে তাকে চিনি এবং জানি। আমি যখন বাংলার বাণীর শাপলা কুড়ির আসরের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, নানক ভাই তখন বিজ্ঞাপন সহকারী ম্যানেজার, অত্যন্ত কাছ থেকে তাকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। শিশুর মতো মন তার। দলের প্রতি, কর্মীদের প্রতি, নির্বাচনি এলাকার জনসাধারণের প্রতি, দেশের নাগরিকদের প্রতি তার অঙ্গিকার নষ্ট হোক তা তিনি চাইবেন না। বিষয়টি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র আনিসুল হক ভেবে দেখবেন কি?
উল্লেখ্য, গতবছর বছিলা গরুর হাটে পড়ে একজন গর্ভবতী মহিলার সন্তান প্রসব হয় রাস্তায়। যা ছিল আমাদের জন্য কলঙ্ক। যে কলঙ্ক আজও আমরা বয়ে বেড়াচ্ছি।
লেখক : মহাসচিব, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন