ম্যাচসেরা সাকিব জেতালেন তালাওয়াশকে
নিজস্ব প্রতিবেদক : ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বাংলাদেশের অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে জয় পেয়েছে জ্যামাইকা তালাওয়াশ। গত শনিবার গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন সাকিব। তাতে তার দল জিতেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনি।
এদিন জ্যামাইকার সাবিনা পার্কে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে গায়েনা অ্যামাজন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৮ রান সংগ্রহ করে তারা। সাকিবের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ২৫ বল হাতে থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় তালাওয়াশ। অল্প রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তালাওয়াশ। প্রথম ওভারে হারায় তিন উইকেট। সোহাইল তানভীরের উদ্বোধনী ওভারের দ্বিতীয় বলে উইকেটরক্ষক ব্রাম্বলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ওপেনার ওয়ালটন। পরের বলে রান আউট হন ম্যাককারথে। তানভীরের পঞ্চম বলে আলি খানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রুভমান পাওয়েল।
দ্বিতীয় ওভারের শুরুতে আরও এক উইকেট হারায় তারা। আলি খানের বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাট আউট হন কুমার সাঙ্গাকারা। প্রথম চার ব্যাটসম্যানের মধ্যে ওপেনার ওয়ালটন মাত্র ২ রান করতে পেরেছেন। বাকিরা রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরেছেন। পঞ্চম উইকেটে ব্যাট করতে আসেন সাকিব আল হাসান। ২ রানে চার উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন তিনি। আন্দ্রে রাসেলকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা ঘুরাতে থাকেন। কিন্তু রাসেল ১৫ বলে ২৪ রান করে পারমাউলের শিকারে পরিণত হন। তাদের জুটি থেকে আসে ৪৩ রান। সাকিবের সঙ্গে যোগ দেন চোটের কারণে প্রথমে ব্যাট করতে না নামা ক্রিস গেইল। তারা দুজন দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। সাকিব ৫৪ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। ৪৭ বলে সাতটি চারের সুবাদে এই স্কোর করেন তিনি। শেষের দিকে ঝড়ো ব্যাটিং করেন গেইল। ২৯ বলে ৪৫ রান নিয়ে খেলা শেষ করেন। ব্যাট হাতে দুটি চার ও চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। এর আগে ব্যাট করতে নেমে গায়ানা বেশি সুবিধা করতে পারেনি। উদ্বোধনী জুটিতে ডোয়াইন স্মিথ করেন ১১ রান। আর মার্টিন গাপটিল রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর ৪৬ রান করেন জ্যাসন মোহাম্মদ। এছাড়া ক্রিস লিনের ৩৩ ও সোহাইল তানভীরের ১৫ রান উল্লেখযোগ্য। বাংলাদেশের অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান বল হাতেও উইকেট পেয়েছেন। দুই ওভারে ২০ রান দিয়ে একটি উইকেট শিকার করেছেন। ডেইল স্টেইন ও ইমাদ ওয়াসিম দুটি করে উইকেট পান। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম