গুলশানে হামলার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি দেশেই হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
সুজন কৈরী : গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলায় অংশগ্রহণকারীরা দেশি এবং এ হামলার পরিকল্পনা দেশেই হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, হামলাকারীদের রিক্রুটমেন্ট ও প্রশিক্ষণও দেশে হয়েছে। তবে তাদের পেছনে আন্তর্জাতিক মদদ থাকার সন্দেহ পুলিশ উড়িয়ে দিচ্ছে না।
গতকাল শনিবার দুপুরে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখায় রাজধানীর নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় কমিশনার বলেন, পাঁচ-ছয়জন জঙ্গি মিলে গুলশানে হামলার মতো এতো বড় ঘটনা ঘটাতে পারে না। এর পেছনে আন্তর্জাতিক মদদ থাকার আশঙ্কা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। গুলশান হামলার নেপথ্যে থাকা কয়েকজন ভারতে গ্রেফতার হয়েছে- এ সংক্রান্ত সংবাদের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই।
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরও গুলশানে অস্ত্রসহ প্রবেশের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, জঙ্গিরা কিভাবে আসল, কিভাবে সেখানে ঢুকল, কিভাবে হামলা করল। সবকিছুর তদন্ত চলছে।
রাজধানীর নিরাপত্তা বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য ইতোমধ্যে ব্যাপকভাবে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তথ্যভিত্তিক গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। দৃশ্যমান পুলিশি ব্যবস্থার পাশাপাশি আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত আছে। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের হামলার ঘটনা আর না ঘটে। আছাদুজ্জামান বলেন, জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক ও মদদদাতাদের খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা দেশি-বিদেশি সব নাগরিকের নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তাদের যার যার মতো করে নিরাপত্তা জোরদার করার অনুরোধ করেছি। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবো। গুলশানের ঘটনায় মামলার তদন্তের বিষয়ে ডিএমপি প্রধান বলেন, কোনো ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্তাধীন অবস্থায় কোনো মন্তব্য করা যায় না। এতে মামলার তদন্তে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। জঙ্গিরা তথ্য গোপন করে বাসাভাড়া নিয়েছে। তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন কিনা এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, আমাদের কাছে সব তথ্য রয়েছে। আমরা সেসব তথ্য যাচাই বাছাই করছি। প্রত্যেকের দোষ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ১০/২০ জন জঙ্গি ধরে কোনো লাভ হবে না। এর মূল দেখতে হবে। মূল উৎপাটন করতে হবে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম