এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স রিভার ফেস্টিভেলে পর্যটনমন্ত্রী পর্যটন হিমালয় অববাহিকার দেশগুলোর সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকা- ত্বরন্বিত করবে
নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, পর্যটন হিমালয় অববাহিকার দেশসমূহের মাঝে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ত্বরান্বিত করবে। এ জন্য দেশগুলোকে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে আর হিমালয়ের অববাহিকায় উৎপন্ন নদীসমূহ ঘিরে এ পদক্ষেপের সূচনা হতে পারে। কারণ এসব নদী এ অঞ্চলের মানুষের জীবন, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে একসূত্রে গেঁথে রেখেছে। নদী বিধৌত এ সভ্যতাকে পর্যটন সম্ভাবনায় রূপ দিতে হবে।
তিনি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল এবং মিয়ানমারের মাঝে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করতে নদী, রেল, সড়ক, বিমান ও পিপল টু পিপল কানেকশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এ যোগাযোগকে ভিত্তি করে হতে পারে কালচারাল, এডুকেশনাল, হেলথ ও রিলিজিয়ন ট্যুরিজম।
মন্ত্রী গতকাল ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী শিলং-এর কনভেনশন সেন্টারে দুদিন ব্যাপি এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স রিভার ফেস্টিভেল: নদীর উদ্বোধনী অধিবেশনে কী-নোট পেপার উপস্থাপনকালে এ কথা বলেন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা, মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী লালথানওয়ালা, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী প্রমুখ।
দুদিনব্যাপি এ সম্মেলনে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের তিনশ জন প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছে।
এ আয়োজনে ১০টি বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে, এতে এ অঞ্চলের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জসমূহ নিয়ে আলোচিত হবে। আগামীকাল শিলং ঘোষণার মধ্যদিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে। ভারতের বিভিন্ন সংস্থার সাথে এ আয়োজনের সহউদ্যোক্তা আরডিসি ও ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ।
সম্মেলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আরডিসির চেয়ারপারসন প্রফেসর মেজবাহ কামাল বলেন, দুজন মানুয়ের ভিন্ন সীমানার হতে পারে কিন্তু তারা যখন একই নদী শেয়ার করে তখন সীমানার বাধা বিলীন হয়ে যায়, তখন তারা একই উৎসরিত হয়, তাই নদী ছোঁয়া মানে মানব সভ্যতাকে স্পর্শ করা, আর সভ্যতার অগ্রগতিকে নিরবধি করতে নদীকে লালন করতে হবে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম