আসতে পারে গুচ্ছ কর্মসূচি ঈদের পরে উগ্র ও সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে জাতীয় কনভেশন করবে বিএনপি
শাহানুজ্জামান টিটু : উগ্র ও সন্ত্রাসবিরোধী জাতীয় ঐক্যের ডাকে সরকার সাড়া দেবে না এমনটা ধরে নিয়ে বিএনপি তাদের কর্মকা- এগিয়ে নিচ্ছে। এজন্য দলটি আগামী ঈদুল আযহার পর রাজধানীতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী জাতীয় কনভেশন করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। তবে ২০ দলীয় জোটের শরিক জামায়াতকে ওই কনভেশনে কোনো আমন্ত্রণ জানানো হবে না। বিএনপি আশা করছে, জামায়াত জাতীয় ঐক্যে থাকবে না এজন্য স্বাধীনতার স্বপক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর বিএনপির প্লাটফর্মে আসতে কোনো বাধা থাকবে না। এছাড়া জাতীয় কনভেনশনে গৃহীত সিদ্ধান্তকে পর্যালোচনা করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণিপেশার মানুষকে নিয়ে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদবিরোধী একগুচ্ছ কর্মসূচিতে মাঠে নামবে বিএনপি। কর্মসূচির মধ্যে থাকবে রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশের জেলা ও বিভাগীয় শহরে জনসভা, মানববন্ধন, জনসচেতনতা বাড়াতে ও জনগণকে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করতে লিফলেট বিতরণ করা হবে। পাশাপাশি দলের কেন্দ্রীয় নেতাদেরকে জেলা শহরগুলো সফরে পাঠানো হতে পারে। দলটির একাধিক নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতার সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য মিলেছে।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বিএনপি জাতীয় ঐক্যের ডাকে সরকার যে সাড়া দেবে না সেটা আমরা কেন দেশের মানুষ আগেই জানে। তারপরও বিএনপি ঐক্যের বিষয়ে যা কিছু করার সেভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে। তিনি বলেন, ম্যাডাম ইতিমধ্যে ২০ দলীয় জোটের র্শীষ নেতা ও দেশের বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তাদের মতামত নিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে তিনি দেশের সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের মালিক, ২০ দল ও ১৪ দলীয় জোটের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনা শেষে পরবর্তী করণীয় নিধার্রণ করবেন। সেটা ঈদের আগে না পরে এবিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কারণ ঐক্য প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে এখনও আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। সকলের মতামত জানার পর দলীয় ফোরামের আলোচনা করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এবিষয়ে এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না বিএনপি।
এদিকে দলের সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ডাকা জাতীয় ঐক্য সরকারের পক্ষ থেকে নাকচ হওয়ার পরে দলটি পুরো বিষয়টিকে এখন নতুনভাবে সাজাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুই জোটের বাইরে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিগুলো ফোরাম, আসম রবের নেতৃত্বাধীন জাসদ, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক লীগসহ বাম ঘরাণার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। এসব রাজনৈতিক দলের সম্মতি পেলেই তাদের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসনের বসার দিনক্ষণ ঠিক করা হবে। এরপর বিভিন্ন সংবাদপত্র ও টেলিভিশন মালিক, সমাজের আলেম ওলামাদের সঙ্গে বসবেন তিনি। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর আলোচনা ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নেওয়া হবে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি