রিকু আমির : জামালপুরের ৮ যুদ্ধাপরাধীর রায়ে ডা. ইমরান এইচ সরকার নেতৃত্বাধীন গণজাগরণ মঞ্চ পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। গতকাল সোমবার ট্রাইব্যুনাল রায়টি ঘোষণার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় একথা জানান গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
তিনি বলেন, আটজন যুদ্ধাপরাধীর মধ্যে যে তিনজন পলাতক, শুধু তাদেরই সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দেওয়া হয়েছে। যে পাঁচ জন কারাগারে আছে, তাদের লঘুদ- দেওয়া হয়েছে। এর কারণ কী, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার শুরু হওয়ার পর যুদ্ধাপরাধী আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকারকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হয়, সেছিল পলাতক। কিন্তু তার পরই আটক থাকা যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাকে প্রথমে লঘুদ-ে দ-িত করা হয়েছিল। একই ধারাবাহিকতায় আটক থাকা যুদ্ধাপরাধীদের বারবার লঘুদ- দেওয়া হচ্ছে, আর পালিয়ে থাকা যুদ্ধাপরাধীরা শাস্তি থেকে বেঁচে যাচ্ছে।
পলাতক যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত খুঁজে বের করে তাদের প্রাপ্য সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবি জানান ইমরান এইচ সরকার। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, রাষ্ট্রপক্ষ এ পাঁচ যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করবে এবং তাদের প্রমাণিত অপরাধের জন্য প্রাপ্য সর্বোচ্চ শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য করবে।
এরপর যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে গণজাগরণ মঞ্চ। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম