ফারহান ফারুক : বিশ্বের প্রথম ডেনিম প্রস্তুতকারক কারখানা হিসেবে জ্বালানি ও পরিবেশ পরিকল্পনায় এনভয় টেক্সটাইলস এখন বিশ্বমান অর্জন করেছে। প্লাটিনাম লিড সনদ অর্জন করায় এনভয় টেক্সটাইলস এখন ডেনিম কারখানা হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে পরিবেশসম্মত স্থাপনা। এ ছাড়া বাংলাদেশে টেক্সটাইল কারখানাগুলোর মধ্যেও প্রথম এ সনদ পেল এনভয় টেক্সটাইল।
পরিবেশ ও জ্বালানি-সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক মান রক্ষা স্থাপনাসমূহের সর্বোচ্চ সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) এ সনদ দিয়েছে। এই সম্মাননার ফলে টেক্সটাইল ও অ্যাপারেল খাতে বাংলাদেশের সম্মান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এনভয় টেক্সটাইল এখন পণ্য উদ্ভাবনকে বিশেষ গুরুত্ব দেবে। ইউএসজিবিসির দেওয়া সনদের মধ্যে রয়েছে সার্টিফাইড, সিলভার, গোল্ড ও প্লাটিনাম। এর মধ্যে প্লাটিনাম হচ্ছে সর্বোচ্চ। বিশ্বের ১৫০টি দেশের ৭২ হাজারেরও বেশি প্রকল্পের প্রায় ১৪০০ কোটি বর্গফুট স্থাপনার জন্য এই লিড সনদ পাওয়ার চেষ্টা করছে। লিড সনদপ্রাপ্তির অর্থ হলো বেশি উৎপাদনশীলতা, পরিবেশের ওপর কম চাপ এবং কাঁচামালের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে স্থাপনা তৈরি ও এর ব্যবহার।
এনভয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এনভয় টেক্সটাইলস পানির চক্রকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বছরে প্রায় ৪০ হাজার কিলো-গ্যালন পানির অপচয় কমাচ্ছে। পানি শোধনাগারের পানি ও বৃষ্টির পানির পুনর্ব্যবহার করার জন্য একটি বড় লেক তৈরি করা হয়েছে। এ লেকেই মাছচাষসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কৃষি, সেচ এবং অগ্নিনির্বাপণের জন্য একটি সমন্বিত ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। আবার জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে জেনারেটরের ওয়েস্ট হিটকে কাজে লাগিয়ে বাষ্প পরিচালনা ও দিনের আলো ব্যবহারের মাধ্যমে চাহিদার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম জ্বালানিতে কারখানা পরিচালনা করছে।
ময়মনসিংহের ভালুকায় স্থাপিত এনভয় টেক্সটাইলস চত্বরে পরিকল্পিত বনায়ন অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রাকে কমিয়েছে। আবার বনায়নের সঙ্গে প্রাকৃতিক সার ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ রাস্তার পাশে গাছ এবং সব স্থানে পরিকল্পনা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানোর মাধ্যমে এনভয় তার অভ্যন্তরীণ বাতাসকে অনেক উচ্চমানে নিয়ে গেছে। পরিবেশ ঠা-া রাখার মাধ্যমে বৈদ্যুতিক চাহিদাও অনেক কমিয়ে এনেছে। জ্বালানি ও পরিবেশ পরিকল্পনায় এনভয় টেক্সটাইলস এখন বিশ্বমান অর্জন করেছে। এই মান ধরে রাখার জন্য এনভয় সবসময় তার সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রাখবে যাতে করে টেক্সটাইল এবং এপারেল ক্ষেত্রের পাশাপাশি বাংলাশের সম্মানও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। সম্পাদনা : সুমন ইসলাম