আনিসুর রহমান তপন : আমাদের সরকার জঙ্গিদের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। কোনো অবস্থাতেই এসব জঙ্গিদের ছাড় দেওয়া হবে না। কাজেই এসব জঙ্গিদের যেকোনো উপায়ে, যেকোনোভাবে প্রতিরোধ করতে হবে। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে পরিষদ সদস্যদের এমন নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভায় উপস্থিত একাধিক মন্ত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য জানান, এগারতম এশিয়া-ইউরোপ সম্মেলন (আসেম) উপলক্ষে মঙ্গোলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতির সময় ফ্রান্সে জনসমাবেশের উপর ট্রাক উঠিয়ে ৮৪ জন মানুষকে হত্যা করে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর এক সদস্য। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গিবাদ বর্তমান বিশ্বে একটি অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে। এরা সারা বিশ্বেই একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। এখন বিশ্বের কোনো দেশই আর নিরাপদ নয়। জঙ্গি গোষ্ঠী এমনভাবে ছড়িয়ে আছে যে, যেকোনো স্থানে, যেকোনো সময় তারা হামলা করতে পারে। সে জন্য আমাদেরও সজাগ থাকতে হবে। আমাদের দেশে যেনো আর কোনো জঙ্গি হামলার মত ঘটনা না ঘটে। তিনি বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ার ঘটনায় বিশ্বে আমাদের নিরাপদ ভাবমূর্তির উপর ছেদ পরেছে। তাই ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো ঘটনা না ঘটে সে জন্য সবাইকে তৎপর থাকতে হবে। এজন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে সচেতন করতে হবে। এজন্য ম্যান টু ম্যান কথা বলতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতে জঙ্গিবাদের প্রসার না ঘটে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত যোগাযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেন। ইসলামের অপব্যাখ্যায় যাতে কোনো শিক্ষার্থী আকৃষ্ট হতে না পারে সেজন্য শিক্ষকদের বিশেষভাবে সচেতন থাকতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অভিভাবকদেরও উচিৎ তাদের সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে, কার সঙ্গে মিশছে, এসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। তাদের আচরণে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কিনা সেসব বিষয়ের উপরও খেয়াল রাখার পরামর্শ দেন তিনি। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম