জঙ্গিবাদবিরোধী কনভেনশন করবে এফবিসিসিআই
ফারহান ফারুক: গুলশান হামলায় বিদেশিদের মৃত্যুর প্রভাব বাণিজ্যে পড়বে বলে আশঙ্কার প্রেক্ষাপটে জঙ্গিবাদবিরোধী কনভেনশনের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করে এ কথা জানিয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ। গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ১৭ বিদেশিকে হত্যা করে, নিহত ইতালীয়দের অধিকাংশই বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ক্রেতা এবং নিহত জাপানিরা মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজে যুক্ত ছিলেন।
এই হামলার পর বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে জঙ্গিবাদের এই সমস্যা মোকাবিলায় নিজেদের তৎপরতার কথা জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, সাক্ষাতের সময় এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সাধারণ মানুষের মতো ব্যবসায়ীরাও সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ চায়।
মাতলুব বলেন, অতি শিগগিরই ঢাকায় ওই কনভেনশন আয়োজন করতে যাচ্ছেন। তাতে সারাদেশের সব চেম্বার এবং ব্যবসায়ীরা অংশ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এফবিসিসিআইয়ের সার্বিক কার্যক্রম রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন। সারাদেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগের উন্নয়নে তার সংগঠনের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কেও জানান।
প্রেস সচিব আরও জানান, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সরকারের বাইরে বেসরকারি খাতের ভূমিকার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যবসায়ী নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
এসময় এফবিসিসিআই নেতাদের সঙ্গে কিশোরগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধি দলও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নিজের জেলা কিশোরগঞ্জের কালিচাপড়া মিল এলাকায় শিল্প কারখানা স্থাপনে এফবিসিসিআই সভাপতির প্রতি আহ্বান জানান। সাক্ষাতের সময় কিশোরগঞ্জের ‘রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজকে নিজের প্রতিষ্ঠান নিটল-নিলয় গ্রুপের পক্ষ থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্স উপহার দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাতলুব আহমাদ। রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে তিনি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি ওই মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ আনম নওশাদ খানের হাতে হস্তÍান্তর করেন। অ্যাম্বুলেন্সের জন্য এফবিসিসিআই সভাপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এর ফলে হাওর এলাকার দরিদ্র রোগীরা উপকৃত হবে।
রাষ্ট্রপতি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্যোক্তাদের ব্যবসার বদলে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।