মন্ত্রিসভায় পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন অনুমোদন
বিশেষ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন ২০১৬ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার মন্ত্রিপরিষদের ১১৫তম সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় আইনটির খসড়া উত্থাপন করলে এর নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, এ আইনের কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- পাট ও সমশ্রেণির আঁশফলে কৃষি ও কারিগরি অর্থনৈতিক গবেষণা নিয়ন্ত্রণ, উন্নয়ন পরিচালনা এবং আঁশজাত ফসল উৎপাদন ও গবেষণার ফলাফল সম্প্রসারণ।
আইনে বলা হয়েছে, উন্নতমানের কলিতাত্ত্বিক বিশুদ্ধতা বজায় রেখে পাটবীজ উৎপাদন, পরিচালন, পরীক্ষণ, সরবরাহ, সীমিত আকারে উন্নতমানের পাটবীজ উৎপাদন ও সংগ্রহ এবং নির্বাচিত কৃষক, স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান ও বোর্ড অনুমোদিত এজেন্সির কাছে বিতরণ করতে হবে।
পাট ও সমশ্রেণির আঁশফল, পাটজাত পণ্য ও আনুষাঙ্গিক বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত গবেষণার লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আঞ্চলিক কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র স্থাপন এবং পাইলট প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করবে ইনস্টিটিউট। ইনস্টিটউট উদ্ভাবিত নতুন জাতের পাটের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রদর্শনী স্থাপন এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জানান, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালনার জন্য একজন খ্যাতনামা পাটজাত পণ্য প্রযুক্তিবিদ মহাপরিচালক থাকবেন। এছাড়া কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প ও বণিক সমিতি, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের প্রতিনিধি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রতিনিধি, ইনস্টিটিউটের পরিচালকরা, পাট গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত দুজন বিজ্ঞানী, একজন কৃষক, একই ধরনের প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, কৃষি, অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় মনোনীত উপ-সচিব মর্যাদার ৪ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় মনোনীত বাংলাদেশ শিল্প গবেষণা পরিষদের প্রতিনিধি, পাট অধিদফতরের পরিচালক, ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) প্রতিনিধিরা সদস্য থাকবেন। ১৯৭৪ সালে এটি আইন আকারে শুরু করা হয়। ১৯৭৪, ১৯৮৩, ১৯৯০ ও ২০০২ সালের সবগুলো আইন মিলিয়ে নতুন এই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম