দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চালে জঙ্গিদের নিরাপদ জোন!
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে নিরাপদ জোন হিসাবে বেছে নিয়েছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের জঙ্গিরা। আত্মগোপনে থেকে ওই সব অঞ্চলের জেলাগুলোতে তারা ঘাঁটি তৈরি করছে। গতকাল বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে অভিযান চালিয়ে জঙ্গিদের আস্তানা গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আরও ঘাঁটি থাকতে পারে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা মনে করছেন। এছাড়া এর আগেও বগুড়াসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পায় র্যাব-পুলিশ। ওইসব আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধারসহ গ্রেফতার করা হয় বেশ কয়েকজনকে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গাইবান্ধা, রংপুর, নাটোর, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, বগুড়াসহ পূর্ব দিকে ময়মনসিংহ অঞ্চলে জঙ্গিরা যথেষ্ট তৎপর। ইতোমধ্যে উত্তরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি সফল অপারেশনও সম্পন্ন করেছে তারা। কেবল উত্তরাঞ্চলেই ৬০ জন দুর্র্ধর্ষ জঙ্গি আত্মগোপনে রয়েছে। এরাই দেশের বিভিন্ন এলাকায় আস্তানা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে।
গোয়েন্দারা বলছেন, দেশে আইএসের কোনো অস্তিত্ব নেই। মূলত দেশি বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন হামলার ঘটনা ঘটিয়ে আইএসের নামে চালানোর চেষ্টা করছে। তাদের মধ্যে সম্প্রতি বেশির ভাগ ঘটনায়ই জেএমবি কিংবা আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। তাদের সঙ্গে একটি রাজনৈতিক দলের যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের লোকজন তুলনামূলক সহজ-সরল, দরিদ্র ও ধর্মভীরু হওয়ায় জঙ্গিরা এসব এলাকায় নাশকতা চালিয়ে আত্মগোপন করে থাকার সুযোগ পাচ্ছে। এখানকার বিভিন্ন দুর্গম এলাকা ঘিরে তাদের সদস্য সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণের সুযোগ নিচ্ছে। উত্তরাঞ্চলে তৎপর হয়ে উঠা জঙ্গি সংগঠনের শতাধিক আত্মঘাতী সদস্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি এড়াতে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে আছে। বয়সে তরুণ হওয়ায় তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি