আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সীমান্ত পার হওয়ার সময় ধরা পড়া বাংলাদেশের এক ব্যাক্তির পরিচয় নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছে ভারতীয় পুলিশ। প্রেমে দিওয়ানা নাকি গরু পাচারকারী, নাকি জঙ্গি-এই নিয়ে ধন্দে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের শীতলকুচি সীমান্তের রক্ষীরা। সংবাদ প্রতিদিন
গত শুক্রবার রাতে শীতলকুচির পাঠানঢুলি সীমান্ত নিয়ে গরু পাচারের সময় একটি বন্দুক, কাঁটাতার কাটার যন্ত্রপাতি-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বিএসএফ ও পুলিশ। এর মধ্যে একজন হল আবদুল লতিফ মিয়া। বাড়ি বাংলাদেশের গাইবান্ধার দৈখাওয়া গ্রামে। লতিফের সীমান্ত পেরনোর আসল উদ্দেশ্য জানতে তাকে জেরা করা শুরু করে পুলিশ। আর তাতেই চক্ষু চড়কগাছ। জেরায় লতিফ জানায় ভারতের এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তার। সেই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতেই গরু পাচারকারীদের সঙ্গে এই ভারতে প্রবেশ করেছে সে। পুলিশি জেরায় বারবার একথাই বলছে লতিফ। আর্জি জানাচ্ছে তাকে ছেড়ে দেওয়ার।
জিজ্ঞাসাবাদে সেখানকার পুলিশ আরও জানতে পেরেছে যে, বাংলাদেশে দাদার সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ রয়েছে লতিফের। আর তাই বিয়ে করে এদেশে থিতু হয়ে চায় সে। এর আগে আরও একবার ভারতে এসেছিল।
তখনই মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই প্রেমের টানেই গরু পাচারকারীদের সঙ্গে ওপারে ঢুকে পড়ে লতিফ।
যদিও লতিফের কথা বিশ্বাস করছে না সেখানকার পুলিশ। তাদের ধারণা, মিথ্যা গল্প ফেঁদে পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে সে। শীতলকুচি থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এখনও পর্যন্ত লতিফের দেওয়া ঠিকানায় তার প্রেমিকার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাকে আরও জেরা করে আসল সত্য জানার চেষ্টা করা হবে। ইতিমধ্যে বে আইনি অনুপ্রবেশের দায়ে লতিফের পাঁচদিন পুলিশি হেফাজত হয়েছে। যদিও লতিফ সেই মেয়েটার কথাই বলে চলেছে।