আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বাস্তিল দিবসে ফ্রান্সের নিস শহরে ট্রাক নিয়ে হামলার ঘটনায় তাদের অন্যায়ভাবে দোষারোপ করা হচ্ছে বলে মনে করছেন নিসের দরিদ্র এলাকা আরিয়ানের মুসলিম বাসিন্দারা। এ ঘটনার জেরে সামাজিক বিভেদ ও বৈষম্যের শিকার হবেন বলে অনুভব করছেন তারা। ইসলামিক স্টেট (আইএস) হামলার দায় স্বীকার করে নিজেদের একজন সৈনিক হিসেবে তিউনিসিয়ায় জন্ম নেওয়া হামলাকারী মোহামেদ ল্যউইজ বুলেলের প্রশংসা করেছে। রয়টার্স
গেল বৃহস্পতিবার বাস্তিল দিবসের উৎসবে আতশবাজির প্রদর্শনী উপভোগের পর হাজারো মানুষ যখন নিসের ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী বিখ্যাত প্রমেনেদ দেজাঙ্গলে চত্বরে সাংস্কৃতিক পরিবেশনার অপেক্ষায়, এমন সময় বুলেল দ্রুত গতির ২৫ টনি একটি ট্রাক জনতার ওপর উঠিয়ে দিয়ে দুই কিলোমিটার পর্যন্ত চালিয়ে যান। এতে ৮৪ জন নিহত হন। পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়ার আগে তিনি পিস্তল দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও বর্ষণ করেছিলেন।
ফরাসি প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালাস জানিয়েছেন, ৩১ বছর বয়সী হামলাকারী খুব দ্রুত উগ্রবাদী হয়ে উঠেছিল। ফ্রান্সের পাবলিক প্রসিকিউটর ফ্রাঁসোয়া মলিয়েঁ সোমবার জানিয়েছেন, আইএসের সঙ্গে বুলেলের সরাসরি সম্পর্ক থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে ইদানীং তার মধ্যে ইসলামের কট্টরপন্থী ধারার দিকে ঝোঁক লক্ষ করা গিয়েছিল। বুলেল যেখানে বসবাস করতেন, সেই আবতোরিস আবাসিক এলাকা থেকে আরিয়ান এলাকাটি কয়েক কিলোমিটার দূরে। এখানে অনেক মুসলমানের বসবাস। তিনি বলেন, দুর্বলরা ব্যবহৃত হলো বলে তাদের ধর্মের ওপর চড়াও হব, এটা উচিত হবে না।
এর সম্পূর্ণ বিপরীতটাই করা দরকার।
আমাদের সবাইকে একতাবদ্ধ হয়ে এই দেশকে রক্ষা করতে হবে। ধর্ম যাই হোক, অপরাধ অপরাধই- বলেন তিনি। স্বজন ও বন্ধুরা জানিয়েছেন, খুব অল্পদিন আগেও বুলেল প্রচুর মদ্যপান করতেন, গাঁজা খেতেন এবং নারী আসক্ত ছিলেন। এসব কিছুই ধার্মিক মুসলমানের জীবনযাপনের সঙ্গে খাপ খায় না। দক্ষিণ-পূর্ব ফ্রান্সের অন্যতম মুসলিম নেতা এলাবেদ লোফতি বলেন, এই ব্যক্তি রোজা রাখতো না, ভালো মুসলিম বলার মতো ন্যূনতম যোগ্যতাও তার (বুলেল) নেই।