নাসিমুজ্জামান সুমন : তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার পর দেশটির প্রেসিডেন্ট তার প্রতিপক্ষের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে যে কথা উঠছে তাকে কুৎসা বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগান। অন্যদিকে সিএনএন’কে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দেশটিতে মৃত্যুদ- পুনরায় চালু করার ব্যাপারে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। বিবিসি বাংলা
এদিকে জার্মান চ্যান্সেলর এঙ্গেলা মেরকেলসহ ইউরোপের নেতারা এরদোগানকে সর্তক করে বলেছেন, তুরস্ক যদি মৃত্যুদ- ফিরিয়ে আনে তাহলে দেশটির জন্য ইইউ-তে যোগ দেয়ার আশা শেষ হয়ে যাবে। তুরস্কের পশ্চিমা মিত্ররা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট এরদোগানের এই ঘটনার পর পরিমিত প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিৎ।
মার্কিন টেলিভিশন সিএনএন কে দেয়া সাক্ষাতকারে মৃত্যুদ- প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বলেছেন ‘মানুষজন বলে, কেন তাদেরকে আমি বছরের পর বছর জেলখানায় রেখে খাওয়াব? মানুষ এই অবস্থার দ্রুত অবসান চায়। কারণ তারা আত্মীয়, পরিবার এবং শিশুদের হারিয়েছে। মানুষ খুব সংবেদনশীল হয়ে আছে তাই আমাদেরকেও বাস্তবসম্মত ও সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে।’
ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের কু-প্রচেষ্টার পিছনে ফেতুল্লাহ গুলেনের মঞ্চ আছে কি নেই সে প্রসঙ্গে তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি প্রমাণ চাইতে থাকে তবে তাদের সাথে তুরস্কের সম্পর্ক পূর্নমূল্যায়ন করা হবে। তিনি বলেন, ‘এই গুপ্তঘাতকরা একটি নির্বাচিত সরকারকে সরাতে চেয়েছিল।’ এসময় তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘যদি আমাদের বন্ধুর এ ব্যাপারে প্রমাণের দরকার হয় তাহলে আমাদের বন্ধুর সাথে সম্পর্কের বিষয়টি আমাদের আবারো ভাবতে হবে।’
এদিকে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান সিএনএন এর সাক্ষাতকারে এমন এক সময়ে এসব মন্তব্য করলেন যখন তার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষদের দমনে অভিযোগ উঠছে। কারণ অভ্যুত্থান চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় প্রায় ৯ হাজার পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা সহ ছয় হাজার সেনা সদস্যকে আটক এবং ৩ হাজারের মত বিচারককে চাকরীচ্যুত করা হয়েছে।