আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের ক্রমবর্ধমান হুমকির মুখে সোমবার পূর্বাঞ্চলীয় লাদাখ সীমান্তের দিকে যাত্রা শুরু করেছে টিপু সুলতান, মহারানা প্রতাপ ও আওরঙ্গজেব। এগুলো কোনো সেনা কর্মকর্তার নাম নয়, এগুলো ট্যাঙ্ক। কেবল তিনটি নয়, চীনের সঙ্গে জুড়ে থাকা গোটা সীমান্তবর্তী এলাকা জুড়ে এরকম প্রায় ১শ ট্যাঙ্ক মোতায়েন করতে চলেছে ভারত। এনডিটিভি
১৯৬২ সালের ইন্দো চীন যুদ্ধে প্রথমবারের মত ট্যাঙ্ক ব্যবহার করেছিল ভারত। ওই যুদ্ধে হেরে যাওয়ার পর সেগুলো প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় পর পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ফের ট্যাঙ্ক মোতায়েন করছে ভারত। এর আগে ওই অঞ্চলটিতে প্রচুর সেনা পাঠানো হয়েছে। গত ৬ থেকে ৮ মাস ধরে সেখানে অবস্থান করছে ভারতীয় সেনারা। তবে ট্যাঙ্কগুলো লাদাখের ঠিক কোথায় মোতায়েন করা হবে নিরাপত্তা ও কৌশলগত কারণে তা জানায়নি সংবাদ মাধ্যমটি। কেবল বলা হয়েছে, ভারত-চীন সীমান্ত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের কোনো এক স্থানে সেগুলো মোতায়েন করা হবে। সবমিলিয়ে সেখানে প্রায় ১শ ট্যাঙ্ক মোতায়েন করবে ভারত। এ সম্পর্কে ভারতের উর্ধ্বতন এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা এনডিটিভি’কে বলেছেন, লাদাখ উপত্যকার সুবিশাল এলাকা জুড়ে বিচরণ করবে ওই সামরিক যানগুলো। পাশাপাশি চীন সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনা সংখ্যাও বাড়ানো হবে।’ তবে সেনা কর্মকর্তা কর্নেল বিজয় দালাল এনডিটিভি’কে বলেছেন, ওই পাহাড়ি এলাকায় বাতাসে অক্সিজেনের মাত্রা কম হওয়ায় এবং তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে অবস্থান করায় সেখানে ট্যাঙ্ক পরিচালনা করা সহজ নয়।’ ফলে ট্যাঙ্কগুলোকে সচল রাখতে সেনাবাহিনী স্পেশাল লুব্রিকান্ট (বিশেষ পিচ্ছিলকারক পদার্থ) ও জ্বালানি ব্যবহার করবে বলে জানিয়েছেন ওই ট্যাঙ্কগুলো পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কর্নেল দালাল।
তিনি আরো জানাচ্ছেন, লাদাখের মত পাহাড়ি অঞ্চলে ট্যাঙ্ক পরিচালনার কাজ কঠিন হলেও সেনাবাহিনী ওই চ্যালেঞ্জ মোকোবেলা করতে সক্ষম। চীনা সীমান্ত এলাকায় তিনটি ট্যাঙ্ককে যে কোনো হামলা মোকাবেলার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রাখা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।