এস এম নূর মোহাম্মদ : সিলেট পুলিশ লাইনস স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও মহানগর পুলিশ কমিশনার কামরুল আহসানের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আতাউর রহমান খানের বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও ওই স্কুলের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক রাশেদুল করিম চৌধুরীর বেতন-ভাতা পরিশোধ না করায় এক আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে রুল জারি করা হয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার ও স্কুলের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এবং ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহ আলমকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে শিক্ষক রাশেদুল করিমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজহার উল্লাহ ভূইয়া ও মো. বাহার উদ্দিন আল-রাজী।
জানা যায়, ১৯৯০ সালে সহকারী শিক্ষক হিসেবে জেলা পুলিশ লাইনস স্কুলে যোগদান করেন রাশেদুল করিম চৌধুরী। তবে ১৯৯৫ সালে তাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়। পরে চাকরিতে পুনর্বহালের আবেদন করে ওই বছরই সিলেটের সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন রাশেদুল। ২০০২ সালে আদালত রাশেদুলকে বরখাস্তের আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন এবং চাকরিতে পুনর্বহাল করে তার বকেয়া বেতন-ভাতা বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই স্কুল কর্তৃপক্ষ জেলা জজ আদালতে আপিল করে। শুনানি শেষে স্কুল কর্তৃপক্ষের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন আদালত। এরপর ওই আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন শিক্ষক রাশেদুল। আবেদনের শুনানি করে ২০১২ সালে হাইকোর্ট তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে ১৯৯৫ সাল থেকে তার পাওনা সমুদয় বেতন-ভাতা পরিশোধের নির্দেশ দেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত বছর সেই লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এর পর কাজে যোগ দিলেও তার বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়নি। ফলে সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে গতকাল রুল জারি করা হয়। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা