গরম পানি ঢাললো একজন, মামলার আসামি অন্যজন
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : মিথ্যা মামলায় দিশেহারা পুরান ঢাকার হাজি মারুফ হোসেন খোকা নামের এক ব্যক্তি। মামলার বাদী ও পুলিশের নাটকীয় ভূমিকায় খোকা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধী শনাক্ত ও তার শাস্তি দাবি করেছেন।
জানা গেছে, গত ২৯ এপ্রিল দুপুরে রাজধানীর চকবাজারস্থ ইসলামবাগ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে চা পান করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা হাজি মারুফ হোসেনসহ বেশ কজন। এ সময় আব্দুর রব নামে একজনের সঙ্গে খোকার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় আব্দুর রবের ছেলে আব্দুস সালাম চা দোকানের গরম পানির কেটলি নিয়ে খোকার শরীর ঝলসে দেওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত সবাই সালামকে নিবৃত করে। তবে গরম পানি ছিটে আশপাশের বেশ কজন সামান্য আহত হন। গরম পানির ছিটা লাগে রবের শরীরেও। এরপর রব এ নিয়ে বানিয়ে ফেলেন তুলকালাম কা-। খোকার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। পুলিশ খোকাকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। তবে পুুলিশ দীর্ঘ সময় তদন্ত করে খোকার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা পায়নি। এরমধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়। বর্তমানে ওই কর্মকর্তা খোকাকে নানাভাবে বিরক্ত করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হোসেন সরদার, চা দোকানের মালিক সাফিসহ অন্যরা জানান, খোকাকে ঠা-া মাথায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তিনি রবের শরীরে গরম পানি ঢালেননি। বরং রবই তার শরীর ঝলসে দিতে চেয়েছিলেন। একই কথা জানিয়েছেন উল্লেখিত দুজনসহ ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী। বিনা অপরাধে তাকে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারেও চলে তার উপর অমানুষিক নির্যাতন। তাকে সেখানে ডা-াভেরিও পরানো হয়। এলাকাবাসী মারুফ হোসেন খোকার উপর নির্যাতনকারী ও মিথ্যা মামলা দায়েরকারী রবের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি