ডেস্ক রিপোর্ট : বঙ্গোপসাগরে গবেষণা ও জরিপ চালানোর মাধ্যমে মৎস্য আহরণ ক্ষেত্র চিহ্নিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্যসম্পদের মজুদ ও সর্বোচ্চ সহনশীল আহরণ মাত্রাও নির্ণয় করা হবে। সেই লক্ষ্যে ‘আরভি মীন সন্ধানী’ নামের আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন গবেষণা ও জরিপ জাহাজটি মালয়েশিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে আসা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক গতকাল একথা জানান।
মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া থেকে আনা ‘আরভি মীন সন্ধানী’ নভেম্বরে কাজে নামবে। অক্টোবর মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছি। সেই হিসাবে নভেম্বরে জরিপের কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হবে। ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও মালয়েশিয়া সরকারের অর্থায়নে ১৬৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত আরভি মীন সন্ধানীর দৈর্ঘ্য ৩৭ দশমিক ৮০ মিটার। মূল ইঞ্জিনের ক্ষমতা ১৪০০ হর্স পাওয়ার, ১৮০০ আরএমপি। এতে কাজ করতে পারেন ২৮ জন ক্রু ও গবেষক।
দেশে বর্তমানে মাছের চাহিদা ৪২ থেকে ৪৩ লাখ মেট্রিকটন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর আমরা এক থেকে দেড় লাখ মেট্রিক টন মাছের উৎপাদন বাড়াচ্ছি। বিদায়ী অর্থবছরেও ৩৮ লাখ ৫৫ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হয়েছে।
এ বছর মৎস্য সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ‘জল আছে যেখানে, মাছ চাষ সেখানে’। মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে সকালে রাজধানীতে একটি শোভাযাত্রা বের হয়।
সম্পাদনা : হাসিবুল ফারুক চৌধুরী