ডব্লিউটিওর সহযোগিতা যথেষ্ট নয় : বাণিজ্যমন্ত্রী
হাসান আরিফ : বাংলাদেশ স্বল্পোন্নতভুক্ত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল। বর্তমানে বাংলাদেশের জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) এখনও অন্যসব এলডিসিভুক্ত দেশের মতো বাংলাদেশকেও দেখছে। ডব্লিউটিও বর্তমানে বাংলাদেশকে যে সহযোগিতা দিচ্ছে তা যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
কেনিয়ার নাইরোবিতে সোমবার রাতে ‘কেনিয়া ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে’ ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক রোবার্তো আজেভেডোর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ একথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তোফায়েল আহমেদ জানান, বাংলাদেশে অনেক সম্ভাবনাময় জনসম্পদ রয়েছে। এ জনসম্পদকে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা প্রদান করে জনশক্তিতে রূপান্তর করা সম্ভব। বাংলাদেশ অন্য যে কোনো এলডিসিভুক্ত দেশের তুলনায় সম্ভাবনাময়। বাংলাদেশের জন্য এ ক্ষেত্রে চলমান সহযোগিতা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
তিনি জানান, ইনহ্যান্স ইন্টিগ্রেটেড ফ্রেমওয়ার্ক (ইআইএফ) এবং এইড ফর ট্রেড-এর আওতায় বিশেষ বিচেনায় এ খাতে ডব্লিউটিওর সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হলে বাংলাদেশের বাণিজ্যে সক্ষমতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।
সার্ভিস ওয়েভারের আওতায় সেবা খাতের বাণিজ্যে অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা যাতে কার্যকর হয়, সে বিষয়ে মহাপরিচালকের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া ডব্লিউটিওর দোহা রাউন্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক উন্নত বিশ্বের কাছ থেকে এলডিসিভুক্ত দেশগুলো ডিউটি ও কোটা ফ্রি সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগকে সমর্থনের আহ্বান জানান তোফায়েল আহমেদ।
ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক রোবার্তো বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন এবং বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আগামীতে ডব্লিউটিওর অব্যাহত সহযোগিতা বৃদ্ধিরও আশ্বাস দেন তিনি।
এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্য ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব অব্যাহতির মেয়াদ ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বৃদ্ধির বিষয়ে সহযোগিতার জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক রোবার্তো আজেভেডোকে ধন্যবাদ জানান।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আগে ১০৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করতো, এখন ১২৪টি দেশে রপ্তানি করছে। এখানে বাংলাদেশের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এখন উন্নত বিশ্বেও বাংলাদেশের তৈরি ওষুধ রপ্তানি শুরু হয়েছে। এ সম্ভাবনাময় শিল্পে দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। এ সময় জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এম শামীম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক, ডব্লিউটিও সেল) শুভাশীষ বোসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : তারেক