পারভেজ মোশাররফের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ
আমিন ইকবাল : পাকিস্তানের সাবেক সেনাপ্রধান ও স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিশেষ আদালতের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে সাবেক এ সেনাশাসক গ্রেফতার না হওয়া কিংবা আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত পরবর্তী শুনানি স্থগিত করা হয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় ওই আদালতেই মোশাররফের বিরুদ্ধে শুনানি চলছে। সূত্র : দৈনিক পাকিস্তান
বিচারপতি মিয়ানখেল বলেন, অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতে আদালত পরবর্তী প্রক্রিয়া চালাতে পারছেন না। আইন অনুযায়ী অভিযুক্তের অনুপস্থিতিতে তার বিচার করা যায় না।’ অভিযুক্তের আচরণের প্রেক্ষিতে আদালতের এ নির্দেশ দেওয়া ছাড়া অন্য উপায় ছিল না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তবে মোশাররফের আইনজীবীর দাবি, তার মক্কেল অসুস্থ এবং বর্তমানে বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন। স্কাইপের মাধ্যমে মক্কেলের জবানবন্দি নেওয়ার জন্য তিনি অনুরোধ জানালে আদালত তা নাকচ করে দেন।
১৯৯৯ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে অপসারণ করে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান শাসন করেন মোশাররফ। গত ২০১৩ সাল থেকে নানা ধরনের মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। একইবছর ৫ এপ্রিল তার ওপর বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। চলতি বছরের মার্চে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুবাইয়ের উদ্দেশে পাকিস্তান ছাড়েন মোশাররফ।
চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন বলে সাবেক এ সেনাশাসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। বলা হয়েছিল, চিকিৎসাশেষে শিগগিরই দেশে ফিরবেন। কিন্তু চলমান রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় কয়েক দফায় সমন জারির পরও আদালতে হাজির না হওয়ার প্রেক্ষিতে গত মে মাসে আদালত তাকে পলাতক ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে মোশাররফকে আদালতে হাজির করতে ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সিকে (এফআইএ) নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এরপরও পারভেজ মোশাররফ আদালতে হাজির না হওয়ায় মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ