রাজধানীর রাস্তায় লেন পদ্ধতি মানছে না কেউ
ইসমাঈল হুসাইন ইমু : রাজধানীর রাস্তায় যানবাহন চলাচলে লেন পদ্ধতি মানছে না কেউই। বড় ট্রাক আর আটোরিকশা একযোগেই চলতে থাকে। এতে অনেক সময় দ্রুতগামী প্রাইভেটকার বা মাইক্রোবাস চালকরা পড়ছেন বিপাকে। পাশাপাশি মোটরবাইক চালকরাও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। এ অবস্থা দীর্ঘদিন ধরে চললেও ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগকে তেমন কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।
এদিকে, রাজধানীর অনেক এলাকায় রাস্তায় লেনের দাগও মুছে গেছে। চালকের ইচ্ছে মতই চলছে যানবাহন। ট্রাফিক পুলিশের উদাসীনতায় অনেক সময় রিকশাও প্রথম লেনে চলাচলের সুযোগ নিচ্ছে। এ ব্যাপারে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ এ প্রতিবেদককে বলেন, আইন তো আছেই। অনেকেই তা মানছেন না। ট্রাফিক বিভাগকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া আছে। তবে বর্তমানে মোটরবাইক তিনজন চলাচলসহ বিভিন্ন অনিয়মগুলোর বিষয়ে নজর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যেসব স্থানে লেনের দাগ স্পষ্ট রয়েছে সেসব এলাকায় যানবাহন চালকদের লেন পদ্ধতি মেনে চলার জন্য বলা হচ্ছে।
জানা যায়, ২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে লেন পদ্ধতি মেনে চলার জন্য পুলিশ প্রচারণা শুরু করে। রাস্তার ডান পাশে থাকবে প্রথম লেন। মাঝখানে দ্বিতীয় লেন। বাঁ পাশে থাকবে তৃতীয় লেন। প্রথম লেনে কার, মাইক্রোবাস, জিপ ও ভিআইপিদের গাড়ি চলবে। যেসব গাড়ি সামনে গিয়ে ডানে মোড় নেবে সেগুলো এই লেনে থাকবে। মাঝখানের দ্বিতীয় লেনে চলবে বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান। তৃতীয় লেনে অটো রিকশা, হিউম্যান হলার ও টেম্পো চলবে। যেসব গাড়ি সামনের ক্রসিংয়ে বাঁয়ে মোড় নেবে সেগুলো এই লেনে থাকবে। লেনে চলার সময় ওভারটেক করা নিষেধ। যত্রতত্র ইচ্ছামতো লেন পরিবর্তন করা যাবে না। সামনের ক্রসিংয়ে বাঁয়ে বা ডানে মোড় নিতে হলে গাড়িটিকে আগেই বাঁয়ের বা ডানের লেন ধরে চলতে হবে। আর ক্রসিংয়ে বাঁয়ের বা ডানের লেন বন্ধ করে রাখা যাবে না বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়। কিন্তু এ নিয়ম শুধু কাগজে কলমেই রয়ে গেছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি