কিরণ সেখ: গণমাধ্যম ফ্যাসিবাদের হাতিয়ার ও বাহনে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ। গতকাল বুধবার রাজধানীর ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের যৌথ আয়োজনে এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে ভুয়া সাংবাদিকরা গণমাধ্যম চালাচ্ছে। তাই আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি, যদি যোগ্য সাংবাদিকদের গণমাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয় তাহলে আমাদের সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি চাকরি পাবেন। শওকত মাহমুদ অভিযোগ করেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাই শুধু হরণ করা হয়নি, এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সাংবাদিকদের নির্যাতন ও জেল-জুলুম। জাতীয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিক নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব বেশিদিন নিজেদের দখলে রাখতে পারবেন না। কারণ এক সময় আপনারা নিখোঁজ হয়ে যাবেন বা পালিয়ে যাবেন। ওই সময় জনতার আদালতে জাতীয় প্রেসক্লাবের বর্তমান সাংবাদিক নেতাদের বিচার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সুতরাং এখনও সময় আছে জাতীয় প্রেসক্লাবে ভুয়া সাংবাদিকদের নয়, যোগ্য ও প্রকৃত সাংবাদিকদের সদস্যপদ দিন।
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার আন্দোলনের মিছিলে সাংবাদিকদের প্রথম কাতারে থাকতে হবে। আর এর জন্য আমাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। শপথ নিতে হবে, প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে হলেও দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করে যাবো।
‘সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদের কারামুক্তি, মাহমুদুর রহমান ও শফিক রেহমানের আরোগ্য এবং মুক্তি কামনা’ শীর্ষক এ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিএফইইজে’র সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন গাজী বলেন, বর্তমান সাংবাদিক নেতাদের জাতীয় প্রেসক্লাব দখল করে রাখার মত ক্ষমতা নেই। সুতরাং তাদেরকে ‘জাতীয় প্রেসক্লাবের কর্তৃপক্ষ’ এখনই সংযত হওয়া উচিত। এবং দেখে শুনে জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্যপদ দেওয়া উচিত। প্রেসক্লাবের নেতাদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ দখল করেছিলেন। এবার আসুন, দেখবো কি করে দখল করেন। বিএফইউজে’র সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে সাংবাদিক নেতা এম আব্দুল্লাহ, আব্দুল শহীদ, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কবি আব্দুল হাই শিকদার, জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি