খিলগাঁও থানার শিবিরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৯ জন রিমান্ডে
মামুন খান : বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় রাজধানীর খিলগাঁও থানার শিবিরের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকসহ জামায়াত-শিবিরের ১৯ জনের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। শুনানি শেষে গতকাল বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম ওয়ায়েজ কুরুনী খান চৌধুরী রিমান্ডের এই আদেশ দেন।
রিমান্ডকৃতরা হলেন, খিলগাঁও থানা শিবিরের সভাপতি মো. মোতাহের হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, একই থানার ছাত্রশিবিরের ন্যাশনাল আইডিয়াল স্কুল ওয়ার্ডের সভাপতি মো. মনির হোসেন, ফয়জুর রহমান আইডিয়াল স্কুল ওয়ার্ডের কর্মী আলাউদ্দিন খলিফা, খিলগাঁও থানা শিবির সদস্য ফয়সাল হোসেন, শিবিরকর্মী সুমন মিয়া, মো. ইসমাইল হোসাইন, মনিরুল ইসলাম, কাউছার আহম্মেদ, রবিউল ইসলাম, রাসেল রানা, শেখ সাইফুল্লাহ, মনিরুল ইসলাম, জামায়াতকর্মী মো. ইসমাইল, আফসার আলী, মো. কামরুজ্জামান, হাবিবুর রহমান ফাহিম, মো. রোমন মোল্লা ও মো. শাহ আলম।
খিলগাঁও থানার এসআই মো. মনিবুর রহমান সুজন বুধবার দুপুরে আসামিদের আদালতে হাজির করে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মামলা সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এই আসামিদের অবৈধ অর্থের উৎস, অর্থের যোগানদাতা এবং তাদের গোপন বৈঠকের উদ্দেশ্য কি, তা জানার জন্য তাদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন।
আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম এবং কামাল উদ্দিন রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন আবেদনের শুনানি করেন। তারা বলেন, আসামিদের কাছ থেকে কোনো কিছু উদ্ধার হয় নাই। তাদের ঘুম থেকে তুলে নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টায় ৭৩৩/এ (৬ষ্ঠ তলার) বাসায় খিলগাঁও থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকের সময় আসামিদের কাছ থেকে বিপুলসংখ্যক জিহাদি বই, একটি কম্পিউটার, ৭টি ককটেল, ৪টি চাপাতি ও বিভিন্ন দলিলপত্রসহ ১০ প্রকারের আলামত উদ্ধার করে পুলিশ। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা