নিখোঁজদের বিষয়ে তথ্য নেই পরিবারে
সুজন কৈরী : র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) প্রকাশিত নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় থাকা অনেকের বিষয়ই সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারছে না তাদের পরিবার। এছাড়া সন্তান বা প্রিয়জনের হঠাৎ হারিয়ে যাবারও কোনো পূর্ব ধারণা ছিল না পরিবারগুলোর।
গত বুধবার দিবাগত রাতে সন্ধান চেয়ে র্যাবের পক্ষ থেকে ২৬১ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাদের একজন মাহমুদুল হাসান রাতুল। পরিবারের সঙ্গে রাজধানীর আদাবর থাকতেন। নটরডেম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সিভিল এভিয়েশন থেকে বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৫ সালের ১৯ জুলাই নিজ বাসা থেকে বের হন। ওইদিন বিকালে বনানীতে এক বন্ধুর বাসা থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে তার কথা হয়। এরপর থেকে তার আর কোনো সন্ধান মেলেনি। ঘটনার দুদিন পর ২১ জুলাই থানায় জিডি করেন রাতুলের পরিবার। রাতুলের বাবা রওশন আলী খান বলেন, ওই সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা রাতুলের মোবাইল ফোনের লোকেশন ট্রাকিং করে রাতুলের অবস্থান জানার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনমাস পর মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে রাতুল।
এদিকে নিখোঁজের তালিকায় থাকা ঢাকা কলেজের একাউন্টিংয়ের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া একটু শান্ত প্রকৃতির ছিল। নিখোঁজ হবার বেশ কিছুদিন আগে থেকে সে বাসা থেকে বের হতো না বলে পরিবার জানিয়েছে। এছাড়া তালিকায় থাকা অপর একজন হচ্ছে প্রকৌশলী রাহাত বিন আব্দুল্লাহ। তার বাবার নাম শেখ আব্দুল্লাহ। তিনি যশোর পলিটেকনিক্যাল থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা পাস করে। পরে একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসিতে ভর্তি হয়। কিন্তু ইন্টার্নশিপ না করে সেও নিখোঁজ। এ বিষয়ে গত ১৮ জুন মোহাম্মদপুর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
এদিকে র্যাবের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ৬৭ জন যুবক নিখোঁজ হয়েছে রাজধানী থেকে। আর জেলাগুলোর মধ্যে শুধু ঝিনাইদহ থেকেই নিখোঁজ রয়েছে ২৯ যুবক। এছাড়া খুলনা বিভাগ থেকে ২০, চট্টগ্রাম বিভাগ থেকে ৭৮, রাজশাহী বিভাগ থেকে ৬, সিলেট বিভাগ থেকে ৪, রংপুর বিভাগ থেকে ২০ এবং বরিশাল বিভাগ থেকে ১ জন যুবক নিখোঁজ রয়েছে।
পুলিশ বলছে নিখোঁজদের খুঁজে বের করতে তারা তৎপর। তবে এরকম তালিকা প্রকাশের পরও নিখোঁজদের ফিরে আসার ব্যাপারে আশ্বস্ত হতে পারছে না পরিবারগুলো। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি