কথিত জঙ্গি তামিম ১৫ বছর বয়সে গ্রামের বাড়িতে এসেছিল
আশরাফ চৌধুরী রাজু ও ছাদেক আহমদ আজাদ, বিয়ানীবাজার (সিলেট) : র্যারের তালিকায় নিখোঁজ বা সন্দেহভাজন জঙ্গি তামিম আহমদ চৌধুরী। তার পিতা শফিকুর রহমান চৌধুরী ওরফে সোয়া মিয়া চট্টগ্রাম শিপইয়ার্ডে চাকরি করতেন। প্রায় ৩০ বছর পূর্বে সোয়া মিয়া পরিবার নিয়ে কানাডা পাড়ি জমান। এরপর থেকে গ্রামের বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের বড়গ্রামের নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। এখানে তাদের বসতঘর নেই, জমি ফাঁকা পড়ে আছে।
তবে তামিমের চাচাতো ভাই ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম আহমদ চৌধুরী জানান, তামিম ভাই আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড়। সম্ভবত ১৯৯৫ সালে তিনি একবার গ্রামের বাড়িতে এলে দেখা হয়েছিল তবে আমি ছিলাম অনেক ছোট। তখন তামিম ভাইয়ের বয়স ছিল আনুমানিক ১৪-১৫ বছর। এরপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ নেই।
অপর একটি সূত্র মতে, গত ২০০১ সালে তারা সপরিবারে বাংলাদেশে এলেও গ্রামের বাড়িতে একবারের জন্যও আসেননি। সিলেট নগরীতে বাসা ভাড়া করে প্রায় ৩ মাস থাকার পর তারা আবার ফিরে যান কানাডায়।
সূত্র মতে, ব্যক্তিগত জীবনে তামিম বিবাহিত এবং ৩ সন্তানের জনক। তারা ৩ ভাই ও ১ বোন। ফেঞ্চুগঞ্জের নানা বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে র্যাবের তথ্যানুযায়ী, তামিম আহমদ চৌধুরী দীর্ঘদিন থেকে নিখেঁজা। তার পাসপোর্ট নাম্বার এ এফ ২৮৩৭০৭৬, ইস্যুর তারিখ ০৪-০৮-২০১৩, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ ০৩-০৮-২০১৬, পুরাতন পাসপোর্ট নং এল ০৬৩৩৪৭৮, জন্ম নিবন্ধন নং ১৯৮৬০০৯১২৪১০০১৩৪২।
দুবাগ ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম জানান, জঙ্গি তামিমের গ্রামের বাড়ির অনেক সদস্যই জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তার দাদা-মৃত আব্দুল মজিদ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন শান্তি কমিটির সদস্যদের নানাভাবে সহায়তা করতেন।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ জুবের আহমদ বলেন, তামিমের ব্যাপারে নিকটাত্মীয়, এলাকাবাসী, জনপ্রতিনিধি কেউ কোনো তথ্য দিতে পারেননি। সে কোনোদিন এই এলাকায় আসেনি। এ কারণে কেউই তাদের কানাডার ঠিকানা দিতে পারেননি। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা