সবার সচেতনতা জরুরি
যতীন সরকার
দেশের বিভিন্ন স্থানে জঙ্গি হামলা হচ্ছে। এ হামলাসমূহের তদন্তে বেরিয়ে আসছে জড়িতরা বিভিন্ন স্বচ্ছল পরিবারের ছেলেমেয়ে। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী সকল অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন তাদের সন্তানদের সঙ্গে সময় দিয়ে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই আহ্বান খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। দেশের জঙ্গি পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে পরিবার থেকে সমাজÑ বিভিন্ন স্তরের মানুষকে সচেতন করে তুলতে জঙ্গিবিরোধী প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল অভিভাবকদের যে আহ্বান জানিয়েছেন, এটাকে সাধুবাদ জানাই। তবে দেশের স্বচ্ছল পরিবারগুলোর বর্তমান যে অবস্থা, তাতে সন্তানদের সঙ্গে অভিভাবকদের আদৌ তেমন সম্পর্ক গড়ে ওঠে কিনা সেটা প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাপার। কারণ, পরিবারের অভিভাকদের সব সময় আয়-উপার্জনের দিকেই তাদের মনোযোগ বেশি থাকে। কিভাবে বেশি উপার্জন করা যায়, কিভাবে সমাজে অর্থবিত্ত ও ক্ষমতায় সবার ঊর্ধ্বে থাকা যায়, সেই চিন্তায় সদা ব্যস্ত থাকে। ফলে, তারা তাদের সন্তানদের কিভাবে সময় দিবে, সেটাই প্রধান প্রশ্ন। দেশে এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যারা তাদের সন্তানদের কোনো চাহিদা অপূরণ রাখেন না। কিন্তু সন্তানদের সঙ্গে চিত্ত-বিনোদনের জন্য কোনো সময় তারা দিতে পারেন না। সময়ের অভাবে সেই সন্তানের ছোট্ট চাহিদা পূরণ করতে না পারলে, সেই সন্তান তখন বিপথগামী পথে পা বাড়ায়। পা বাড়াতে চিন্তা করে। এখনকার ছেলেমেয়েরা অভিভাবকদের সঙ্গে সময় না কাটাতে পেরে তারা বিভিন্ন অনলাইন, ফেসবুক ও জঙ্গি সাইটে গিয়ে প্রলোভনে পড়ে জঙ্গি হচ্ছে। এমনটি কখনো কারও প্রত্যাশিত নয়।
এই অস্থিতিশীলতা থেকে দেশকে রক্ষা করতে সরকারকে সহযোগিতা করা আমাদের দায়িত্ব। সরকার ও জনগণের সম্মিলিত সচেতনতায় আপন নীড়ে ফিরে আসতে পারে আমাদের বিপথগামী সন্তানেরা।
পরিচিতি : শিক্ষাবিদ
মতামত গ্রহণ : শরিফুল ইসলাম
সম্পাদনা : জব্বার হোসেন