পাটের বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
শরিফুল ইসলাম ঝোকন, জামালপুর : জামালপুরে পাটের বাম্পার ফলন হওয়ায় চলছে পাট কাটার মৌসুম। কেউ পাট কেটে নদী নালা খাল-বিল ও ডোবায় জাগ দিচ্ছে। আবার কেউ কেউ ব্যস্ত সময় পার করছেন আঁশ ছাড়াতে। রাস্তায় দুই ধারে ও বাড়ির উঠানে চলছে পাট শুকানোর কাজ। কিন্তু ফলন ভাল হওয়া সত্বেও পাটের দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকেরা।
তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার পানির অভাবে পাট পঁচাতে বেগ পেতে হচ্ছে না কৃষকদের। ফলন ভাল হলেও উৎপাদন খরচসহ লাভের অর্থ বুঝে পেতে চাষিরা আশংকা প্রকাশ করছে।
জামালপুর সদর উপজেলার বারুয়ামারী গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, এবার যদি পাটের ন্যায্য মূল্য যদি না পায় তবে কৃষকদের লোকসান গুনতে হবে।
তুলশিচর ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম বলেন, এক একর জমিতে পাট চাষ করে যে টাকা খরচ হয়েছে তাতে করে সরকার যদি তার সঠিক মূল্য না দেয় তাহলে আমাদের পাট চাষীদের লোকসান গুনতে হবে। জামালপুর জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো. মোখলেছুর রহমান মোখলেছ বলেন, কৃষকদের উৎপাদিত ফসলের যদি ন্যায্য মূল্য পাওয়া না যায় তাহলে কৃষকদের বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই সরকার রাষ্ট্রের নিয়ম কাঠামোর আওতায় কৃষকদের উৎপাদিত পণ্যের নির্ধারিত ব্যবস্থাপনা চালু করা এবং মৌসুমের শুরুতেই নির্ধারিত মূল্যে ফসল সংগ্রহ করা উচিত।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার এস.এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জামালপুর সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকার মাটি পাট চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় গত ২০১৫-১৬ মৌসুমে ৩ হাজার ৭ শত ২৫ হেক্টর জমিতে পাটের চাষ হয়েছিল। পাটের বাজার মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ৪ হাজার ১ শত হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ হচ্ছে। জামালপুর সদর উপজেলায় ৩ প্রকারের পাট উৎপাদিত হচ্ছে। এর মধ্যে দেশী পাট ৫ শত হেক্টর, তুষা পাট ৩ হাজার ২ শত হেক্টর, কেনাফ পাট ৪ শত হেক্টর।