নওগাঁ-নাটোর বাইপাসের ব্রিজ ভেঙে চলাচল বন্ধ
আশরাফুল নয়ন, নওগাঁ : নওগাঁর সান্তাহার-নাটোর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাল্লা ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছে। পাল্লা ব্রিজটি দীর্ঘদিন যাবৎ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকার পরও মেরামত না করায় গত মঙ্গলবার রাতে ভেঙ্গে পড়ে। এতে করে মালবাহী বড় যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বর্তমানে রাণীনগর থেকে সান্তাহার চলাচল বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয়রা ইট দিয়ে জোড়াতালি দেওয়ায় কোনমতে চলাচল করছে ছোট ছোট যানবাহন। তবুও কোন নজরদারী নেই নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্তাদের। দীর্ঘদিন পূর্বে তৈরি করা এসব কালভার্টের প্রশস্ততা বর্তমান তৈরিকৃত সান্তাহার-নাটোর বাইপাস মহাসড়কের চেয়ে প্রায় আকারে ৪ ফুট কম। আবার কোনটি সড়কের চেয়ে অনেক উঁচু। কিছু কিছু কালভার্টের দীর্ঘদিন কোন সংস্কার না করায় মাঝের অংশ ভেঙ্গে পড়ায় সড়ক কর্তৃপক্ষ লোহার মোটা পাতের জোড়া তালি দিয়ে চালিয়ে নিচ্ছেন। ফলে নিত্য দিন ঘটছে দুর্ঘটনা।
জানা গেছে, সান্তাহার ঢাকা রোড থেকে নাটোর পর্যন্ত এই বাইপাস আঞ্চলিক মহাসড়কের নির্মাণ কাজ প্রায় ১০ বছর পূর্বে শুরু হলেও রাণীনগর পর্যন্ত সামান্য পরিমাণ কাজ হবার পর অজ্ঞাত কারণে বন্ধ রয়েছে। কাজের শুরুতে রাণীনগর রেল স্টেশন হতে সান্তাহার ঢাকা রোড পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার সড়কের কাজ আবার নতুন করে কিছুদিন পূর্বে সম্পন্ন হলেও নতুন করে এইসব ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টের কোন কাজই করা হয়নি।
মাত্র সাড়ে ৩ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে ৭টি কালভার্ট। এই ৭টি ঝুঁকিপূর্ণ কালভার্টের মধ্যে পানলা গ্রামের সামনের কালভার্টটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এই কালভার্টের পাটাতন অন্তত ১০ বার জোড়াতালি দিয়ে চালানো হচ্ছে। ফলে এ সড়কে অন্য এলাকা থেকে আসা বড় বড় ট্রাকের চালকরা কালভার্ট ও সড়কের মাপ সম্পর্কে অজানা থাকার কারণে দুর্ঘটনায় পড়ে। এছাড়াও রাতের বেলায় স্থানীয় সকল যানবাহনের চালকরা গোলক ধাঁধায় পড়ে যাওায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
এসব দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনাও ঘটেই চলেছে।
বর্তমানে আত্রাই-রাণীনগর-নওগাঁ মহাসড়কের অবস্থা বেহাল হওয়ার কারণে এবং এই বাইপাস সড়কে সান্তাহার ও নওগাঁ যাওয়ার জন্য সময় খুব লাগে বলে বড় বড় মালবাহী ট্রাক সহ ছোট ছোট যানবাহন এই বাইপাস সড়কটিই বেশি ব্যবহার করছে বলে সব সময় ব্যস্ত থাকে এই বাইপাস সড়কটি। তবুও কোন নজরদারী নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।