ওমর শাহ
কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করলে ইস্তেখারা করা সুন্নত। ইস্তেখারার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে কল্যাণ রয়েছে। ইস্তেখারা করার যে পদ্ধতি এসেছে তা হল, প্রথমে দুই রাকাত নামায পড়বে ইস্তিখারার নিয়তে।
দুআ পড়বে, আল্লাহুম্মা আস্তাখিরুকা বি ইলমিকা, ওয়া আস্তাকদিরুকা বি কুদরাতিকা, ওয়া আসআলুকা মিনফাদ্বলিকাল আযীম, ফা ইন্নাকা তাকদিরু ওয়ালা আকদিরু, ওয়া তা’লামু ওয়ালা আ’লামু, ওয়া আন্তা আল্লামুল গুয়ূব। আল্লাহুম্মা ইনকুন্তা তা’লামু আন্না হাযাল আমরা (এখানে নিজের কাজের কথা উল্লেখ করবে) খাইরুল্লি ফি দ্বীনী ওয়া মাশায়ী ওয়া আক্বিবাতি আমরী (অথবা বলবে: আ’ জিলি আমরি ওয়া আজিলিহি) ফাকদিরহু লি ওয়া ইয়াসসিরহু লী সুম্মা বারিকলী ফিহি ওয়া ইন কুনতা তা’লামু আন্না হাযাল আমরা (এখানে নিজের কাজের কথা উল্লেখ করবে) শাররুল্লী ফী দীনী ওয়া মাশায়ী ওয়াআক্বিবাতি আমরী (অথবা বলবে: আ জিলি আমরী ওয়া আজিলীহি) ফাসরিফহু আন্নিওয়াসরীফনি আনহু ওয়াকদির লিয়াল খাইরা হাইসু কানা সুম্মা আরদ্বিনী বিহি। এ দুআর যেখানে ‘হাজাল আমর’ শব্দটি আসবে, সেখানে মনে মনে যে কাজটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাচ্ছে সেটি উচ্চারণ করবে আরবিতে বা মনে মনে সে বিষয়টি ভেবে নিবে। কোন পদ্ধতিতে ইস্তেখারার ফল জানা যাবে? উক্ত শেষ করে কারো সাথে কথা না বলে কিবলামুখী হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে। ঘুম থেকে জাগার পর মন যেদিকে সায় দিবে, বা যেদিকে আগ্রহী হয়ে উঠবে, সেটিই ফলাফল মনে করবে।
তুহফাতুল আলমায়ী-২/৩৩৮, বেহেশতী জেওর