পাঁচজনকে হত্যার কথা স্বীকার মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ কবলিত শান রাজ্যে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেনাদের হাতে একটি গ্রামের পাঁচজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। বুধবার মিয়ানমারের অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিয়া তুন ও এ কথা জানিয়েছেন। বিডিনিউজ
মিয়ানমারের প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের ঘটনার কথা স্বীকার একটি বিরল ঘটনা। তারা ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের বিচারের মুখোমুখি করার প্রতিশ্র“তি দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ২৫ জুন সেনারা মং ইয়াও-র একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বহু সংখ্যক পুরুষ মানুষকে জড়ো করে, পরে এদের মধ্য থেকে পাঁচজনকে নিয়ে যায়। কয়েকদিন পর একটি অগভীর কবরে ওই পাঁচজনের লাশ পাওয়া যায়। ইয়াঙ্গুনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে জেনারেল তু ও জানান, ঘটনার বিষয়ে সামরিক আদালতে বিচারের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়ে সাক্ষ্যপ্রমাণ জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। নিহতদের পরিবারগুলোকে সহায়তা দেয়ারও প্রতিশ্র“তি দিয়েছে সামরিক বাহিনী। তু ও বলেন, ‘তারা আইন লঙ্ঘণ করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে সামরিক আদালত, নির্দিষ্ট বিধিমালা অনুসরণে ব্যর্থ হয়েছে তারা, এ কারণেই জিজ্ঞাসাবাদের সময় আটককৃতদের মৃত্যু ঘটেছে। এ ঘটনায় কতজন সেনার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে ও তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনা হয়েছে তা জানাননি তিনি। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের উপস্থিতিতে একজন শীর্ষ জেনারেলের কাছ থেকে সেনাদের অপরাধের বিষয়ে এ ধরনের স্বীকারোক্তি মিয়ানমারে নজিরবিহীন। এর আগে কখনো কখনো সেনাদের কোনো বিচ্যুতির কথা মিয়ানমার সামরিক বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেও তা কখনো এতো পরিষ্কারভাবে স্বীকার করেনি।