আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানে ভারত বিরোধী মিছিল জঙ্গি সংগঠন জামাত উদ দাওয়ার। কাশ্মীর থেকে ভারতের সরে যাওয়ার দাবিতে ‘কালা দিবস’ পালন সরকারি আধিকারিকদের। হিজবুল মুজাহিদিন সদস্য বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর প্রতিবাদে বুধবার লাহোর থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত ভারত বিরোধী মিছিল বের করে জঙ্গি সংগঠন জামা উদ দাওয়া। মিছিলে নেতৃত্ব দেয় ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম মূল চক্রী হাফিজ সইদ। কাশ্মীর থেকে ভারতীয় সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবিতেই মূলত এই মিছিল ডাকা হয়। বুরহানের ছবি লাগানো পোস্টার হাতে নিয়ে রাস্তায় নামে ওই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। পোস্টারে ভারত ও আমেরিকার বিরুদ্ধেও বিতর্কিত মন্তব্য লেখা ছিল। যাতে বলা হয়, ‘কাশ্মীরে নিজেদের জোর খাটাতে নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে ভারত ও আমেরিকা। তাদের হাত থেকে মুক্তি চায় কাশ্মীরবাসী।’ আজকাল
মিছিলে ভারত বিরোধী উস্কানি মূলক সেøাগানও চলতে থাকে। ২০ জুলাই দিনটিকে ‘কালা দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা আগেই করেছিল পাক সরকার। তাতে উৎসাহ পেয়ে শুধু জামাত উদ দাওয়াই নয়, বুধবার প্রতিবাদে সামিল হয় সরকারি আধিকারিক ও আইনজীবীরাও। হাতে কালো ফিতে বেঁধে ‘কালা দিবস’ পালনের হিড়িক দেখা যায় তাদের মধ্যে। কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়তে করাচি, লাহোর, পেশাওয়ার, মুলতান, মুজাফ্ফরনগর সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। পাক সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করবেন বলে জানিয়েছন খোদ প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তার দাবি, ছয় দশকেরও বেশি সময় আগে কাশ্মীরবাসীর মনে গণভোটের আশা জাগিয়েছিল জাতিসংঘ। আজও তার বাস্তবায়ন হয়নি। কাশ্মীরবাসী সেই অপেক্ষায় আজও দিন গুণছে। টিমর দ্বীপের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপুঞ্জের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন কাশ্মীর বিষষয়ক মন্ত্রী চৌধুরি বার্জিস তাহিরও। কাশ্মীর নিয়ে শান্তিপূর্ণ বৈঠকে আলোচনায় রাজি বলে বারবার জানালেও, কোনও না কোনও অছিলায় বরাবরই ভারতের বিরুদ্ধে কাশ্মীরবাসীর মনে বিদ্বেষ জাগাতে ইন্ধন জুগিয়েছে পাক সরকার। ৮ জুলাই বুরহান ওয়ানির মৃত্যুকে হাতিয়ার করে এবারও সেই একই কাজ করছে তারা। দেশের আভ্যন্তরীন ব্যাপারে তাদের এই হস্তক্ষেপে ইতিমধ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার মতে, আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মার সমস্যার সমাধান না করে, অন্যের ঘরে আগুন লাগাতেই বেশি উৎসাহী ইসলামাবাদ। ভারতের মুসলিমদের নিয়ে তাদের বেশি ভাবনা চিন্তা না করাই ভালো। কিন্তু তার দাবি খারিজ করে দিয়েছে পাক সরকার। তাদের দাবি কাশ্মীর নাকি কখনওই ভারতের আভ্যন্তরীন বিষয় ছিল না!