গুদামে মিললো নিখোঁজ শিশুর লাশ
রফিকুল ইসলাম রফিক, কাউখালী (পিরোজপুর) : পিরোজপুরের কাউখালীতে ইয়াসিন (৭) নামে এক নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্বার করেছে পুলিশ।
কাউখালী শহরের লঞ্চঘাট এলাকার একটি সুপারীর প্রক্রিয়াজাতকরণের রাসায়নিক গুদাম থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্বার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
নিহত ইয়াসিন বুধবার বিকালে বাসা থেকে মায়ের কাছে বলে খেলতে বের হয়ে আর বাসায় ফিরেনি। সে কুমিয়ান গ্রামের স্বামী পরিতক্তা জোসনা বেগমের চতুর্থ সন্তান। এই ঘটনায় সুপারী গুদামের মালিক সাবেক ইউপি সদস্য ফিরোজ আলম ও তার কর্মচারীদের অবহেলার অভিযোগে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে শিশুটির পরিবার থানা ও পবিবার সূত্রে জানাগেছে। কুমিয়ার গ্রামের জোসনা বেগমের ছেলে ইয়াসিন বুধবার বিকালে প্রতিদিনের মতো বাসা থেকে বের হয়ে খেলতে যায়। রাতে বাড়িতে না ফেরায় তার খোঁজা-খুজি শুরু করে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে ওই লঞ্চঘাট এলাকার সুপারীর রাসায়নিক গুদামে লাশটি পাওয়া যায়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট গুদামের মালিক ও কর্মচারী বিষয়টি গোপন রাখে।
পরে স্থানীয়ভাবে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ওই গুদাম থেকে শিশুটির লাশ উদ্বার করে। এসময় শিশুটির শরীলে সুপারী প্রক্রিয়াজাত করনে সালফার ও বরিক এসিড এর প্রভাব দেখা যায়। ধারনা করা হচ্ছে শিশুটি রাসায়নিক গুদামের ব্যবহারিত সালফার ও বরিক এসিডের বিষক্রিয়ায় মৃত্যু ঘটেছে। শিশু ইয়াসিনের মা জোসনা বেগম দাবী করেন তার ছেলে ইয়াসিনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে সুপারীর গুদামে ফেলে রাখে। এঘটনায় পিরোজপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ওয়ারেজ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এব্যাপরে কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাহাঙ্গির হোসেন জানান, এখনও মামলা হয়নি।
মামলার পরই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।