ডেপুটি গভর্নর নিয়োগে ফের বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ
হাসান আরিফ : ডেপুটি গভর্নর নিয়োগে সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। বুধবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস।
গকুল চাঁদ দাস স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের শূন্য পদে নিয়োগে জন্য সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। ডেপুটি গভর্নর নিয়োগে একটি ইংরেজি ও একটি বাংলা জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, চিঠিতে গতকাল বৃহস্পতিবারই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু কেন তা করা হলো না, তা বুঝতে পারছি না। তবে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে, তা নিশ্চিত।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনে স্থানান্তর করেন হ্যাকাররা। এ ঘটনার জের ধরে গত ১৫ মার্চ গভর্নর পদ থেকে ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করেন। গভর্নরের পদত্যাগের পর দুই ডেপুটি গভর্নর মো. আবুল কাসেম ও নাজনীন সুলতানাকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এই শূন্য পদ পূরণে সরকার ১৭ মার্চ ড. খলীকুজ্জমান আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করে। এই পদে নিয়োগের জন্য প্রজ্ঞাপন জারির পর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রায় ৬০টি আবেদন জমা পড়ে। এসব আবেদন থেকে বাছাই করে ২১ জনকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। সর্বশেষ এ পদের জন্য এসএম মনিরুজ্জামান, আহমেদ জামাল ও আবদুর রহিমের নাম সুপারিশ করে সরকার। এদের মধ্যে এসএম মনিরুজ্জামান ও আবদুর রহিমকে দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। ফলে প্রশ্নবিদ্ধ এ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে।
গঠিত সার্চ কমিটির অপর সদস্যরা হলেন- গভর্নর ফজলে কবির, বিআইডিএসের মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জায়েদ বখত ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস। তিনি সাচিবিক দায়িত্বও পালন করছেন।