র্যাবের তালিকায় নিখোঁজ রাশেদ গাজী কারাগারে
মাসুদ আলম : র্যাবের প্রকাশ করা নিখোঁজ তালিকায় নাম উঠলেও নিখোঁজ নন রাশেদ গাজী নামের এক যুবক। তিনি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। গত ১৪ জুলাই ভোরে উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে রাশেদ গাজী ও কামরুজ্জামান ওরফে সাগরকে আটক করে র্যাব-১-এর একটি দল। বুধবার বাবা আব্বাস গাজী তার সঙ্গে দেখা করে কথা বলে এসেছেন বলেও দাবি করেছেন। র্যাবের নিখোঁজ তালিকায় তার ছেলের নাম ওঠার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না।
র্যাবের দেওয়া নিখোঁজ ২৬২ জনের তালিকায় ৮৯ নম্বরে থাকা রাশেদ গাজী কবে নিখোঁজ হয়েছেন, জানতে চাইলে তার বাবা আব্বাস গাজী বলেন, আমার ছেলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আাছে। তার সঙ্গে আমি দেখা করেছি। কিভাবে তিনি জেলে গেলেন- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, গত ২১ জুন থেকে ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। ২৫ জুন তিনি এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে গত ১৪ জুলাই রাশেদকে র্যাব হেফাজতে নেওয়া হয় বলে শুনতে পান। পরের দিন তাকে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে নেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ বলেছে, তার ছেলেকে তল্লাশি করে নাকি তার ব্যাগে ৯টা হাতবোমা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে তিনি বা তার ছেলে কিছু বলতে পারেন না বলে দাবি করেন।
রাশেদকে রাজধানীর উত্তরা থেকে আটক করা হয় বলে তিনি জানান।
১৫ তারিখ আদালতে নেওয়ার পর কী করে নিখোঁজ তালিকায় নাম এলো, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিখোঁজ তালিকার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি শুধু জিডি করেছিলেন। রাশেদ গাজী সাতক্ষীরার তালা উপজেলার সাতপাখিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কৃষিকাজ করে জীবন-যাপন করেন। সারা দেশে সম্প্রতি নিখোঁজ ২৬২ জনের একটি তালিকা দেয় র্যাব। গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলায় ঘরছাড়া তরুণদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশের পর নিখোঁজদের অনুসন্ধানে যায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগে তাদের পক্ষ থেকে নিখোঁজ ১৭ জনের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
র্যাবের দেওয়া ওই তালিকায় ২১৫ নম্বর ক্রমিকে থাকা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. রহমতুল্লাহ রাজশাহীর কারাগারে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
র্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ১৪ জুলাই ভোরে রাজধানীর উত্তরা ৬নং সেক্টর এলাকা থেকে জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটক দুইজন হলেন- কামরুজ্জামান ওরফে সাগর (২৪) ও রাশেদ নাজিম ওরফে রাশেদ। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও ৯টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পেরেছি, তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল। নাশকতার উদ্দেশ্যে তারা যশোর থেকে ঢাকায় আসে। যশোর পুলিশ লাইনসংলগ্ন পাঠশাল কোচিং সেন্টারের পাশে থাকত রাশেদ।