সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারত পাশে আছে বাংলাদেশের শেখ হাসিনাকে মোদি
দীপক চৌধুরী : আগামীতে বাংলাদেশ-ভারত আরও গভীর সম্পর্কের মধ্য দিয়ে অর্থনীতিতে মজবুত ভিত্তি রচনা করবে বলে মত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দমোদর দাস মোদি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনের প্রশংসা করে বলেছেন, আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাব। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আরও যুক্ত ছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেনাপোল পেট্রাপোল সমন্বিত চেকপোস্ট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তারা পরস্পরের সঙ্গে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক মানুষে-মানুষে। এটি সেই ১৯৭১ সাল থেকেই। ভারতের জনগণ ও সরকার ’৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সঙ্গে ছিলেন। সেই সম্পর্ক পরিক্ষীত। শেখ হাসিনা বলেন, আজ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্মরণীয় দিন। পারস্পরিক আদান-প্রদানের নিরীখেও আজকের দিনটি বিশেষ তাৎপযপূর্ণ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেওয়া বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, নিজেকে কখনো একা ভাববেন না, এমন পরীক্ষার সময় (সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই) ভারত আপনার পাশেই আছে। পবিত্র রমজান মাসে ঢাকা ও কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলা, মন্দিরে, পুরোহিত, সাধারণ মানুষের ওপর সন্ত্রাসী হামলারও নিন্দা জানান মোদি। হামলায় হতাহত নিরীহ মানুষের সঙ্গে পুরো ভারতের মানুষের সমবেদনা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
নরেন্দ্র মোদি শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এই পরীক্ষার সময় পুরো ভারত আপনার সঙ্গেই আছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে যেভাবে ধৈর্য্যরে সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাতে আমি মন থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাই। আপনার নেতৃত্ব পুরো অঞ্চলের জন্য একটি উদাহরণস্বরূপ।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এটাও আশ্বাস দিতে চাই যে, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আপনার এই যে লড়াই তাতে ভারত আপনাকে সব ধরনের সহায়তা দিতে সব সময় প্রস্তুত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আমরা এখন এমন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে শুধু আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোই এক নয়, আমাদের বিকাশের পথও একসঙ্গে জড়িত। সেই সঙ্গে আমাদের সমান সম্ভাবনাও রয়েছে।
বেনাপোল-পেট্রাপোল পুরো দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বলে উল্লেখ করেন নরেন্দ্র মোদি। শুধু এখানে নয়, এর আগে আগরতলায়ও ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট তৈরির কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিকাশে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি। এই বন্দর দুই দেশের মানুষের জন্য অত্যন্ত লাভজনক হবে বলে মনে করেন তিনি। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি