্আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আইএসের হয়ে লোক নিয়োগের অভিযোগে গ্রেপ্তার বিতর্কিত ইসলামি প্রচারক জাকির নায়েকের সহযোগী আরশিদ কুরেশি। জাকিরের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সক্রিয় সদস্য ছিল সে। বুধবার রাতে নবি মুম্বাইয়ের সিউড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাস দমন শাখা ও কেরল পুলিশের একটি যৌথ দল। তার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করে আই এসে যোগ দিতে বাধ্য করার অভিযোগ এনেছেন কেরালার বাসিন্দা ২৫ বছর বয়সী এবিন জেকব। কিছুদিন ধরেই নিখোঁজ এবিনের বোন মরিয়ম ও তার স্বামী বেস্টিন ভিনসেন্ট। তাদের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে আরশিদের হাত রয়েছে বলে দাবি এবিনের। তার অভিযোগ, বোনের স্বামী বেস্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আরশিদের। তাকেও ধর্মান্তরিত করে আই এসে যোগ দেওয়ার জন্য জোরাজুরি করেছিল তারা। তারা পরিকল্পনা করেই মরিয়মকে ধর্মান্তরিত করে বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছে। আজকাল
এরনাকুলামের পুলিশের সহকারী কমিশনার কেভি বিজয়ন জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে একরকম জোর করেই এবিনকে মুম্বাই নিয়ে আসে বেস্টিন। মুম্বাইয়ে আরশিদের বাড়ির লাইব্রেরিতে বসে চলতে থাকে মগজধোলাই। সেখানে সব ধর্মের মধ্যে তুলনায় ইসলামকে শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করে আরশিদ। ভারতীয় নাগরিকরা অধর্মের পথে হাঁটছে বলেও বোঝানো হয় তাকে। কিন্তু তাদের ফাঁদে পা না দিয়ে কেরালা ফিরে গিয়েছিল এবিন। তার অভিযোগ পেয়েই বুধবার মুম্বাইয়ে আরশিদের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। বৃহস্পতিবার সি বি ডি-বেলাপুরের একটি আদালতে তোলা হলে, তাকে চারদিন কেরালা পুলিশের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। মহারাষ্ট্র সন্ত্রাস দমন শাখার আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে কেরালা নিয়ে যাওয়া হবে আরশিদকে। কোচিতে তার বিরুদ্ধে ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ১৫৩-এ (বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বৈরিতা তৈরি) ধারা এবং ইউএপিএ আইনে মামলা রুজু হয়েছে। গত ২ জুলাই ঢাকার গুলশান হামলার পরই গোয়েন্দাদের নজরে আসেন জাকির নায়েক। ধর্ম প্রচারের নামে যুব সমাজকে জঙ্গি দলে নাম লেখাতে ‘উস্কানি’ দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। জাকিরের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সঙ্গেই যুক্ত ছিল ধৃত আরশিদ। তবে এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি ওই সংস্থার মুখপাত্র। ২১ জন কেরালাবাসীর নিখোঁজ হওয়ার পিছনে আইএস যোগ রয়েছে বলে আগে থেকেই দাবি উঠছিল। আরশিদ ও বেস্টিনের কথা জানার পর এই প্রথম কাউকে ইউএপিএ আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হল।