আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গুজরাটে নিগৃহীত দলিতদের দেখতে এলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাজকোট সিভিল হাসপাতালে গিয়ে খোঁজখবর নিলেন আহতদের। বৃহস্পতিবারই আহতদের সঙ্গে দেখা করে গেছেন কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী। আহত দলিতদের ৫ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। গত সপ্তাহে উনায় গোহত্যা ঘিরে দলিত নিগ্রহের ঘটনা সামনে আসার পরই গুজরাট যাবেন বলে ঘোষণা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতো শুক্রবার সকালেই হাজির হন তিনি। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। পরপর দলিত নিগ্রহের ঘটনায় বিজেপি-র দিকে আঙুল তোলেন তিনি। বলেন, ‘বিজেপি সরকার দলিত বিরোধী। তাদের নির্দেশেই পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।’ আজকাল
গোহত্যার অভিযোগে গত সপ্তাহে স্থানীয় গোরক্ষা সমিতির সদস্যদের হাতে নিগৃহীত হয় ৪ দলিত যুবক। নিগ্রহের ভিডিও-টি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোডও করে অপরাধীরা। গোটা ঘটনায়, শাসকদল বিজেপি-র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরই দলিতদের ওপর অত্যাচার বেড়েছে বলে অভিযোগ করেন মায়াবতী। তবে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব খারিজ করেছেন রাজ্য বিজেপি সরকারের মুখ্য সচিব জিআর আলোরিয়া।
তার দাবি, ইতস্তত গজিয়ে ওঠা গোরক্ষা সমিতিগুলিকে সরকার সমর্থন করে না। গোরক্ষার নামে গুন্ডামি করে বেড়ানোই তাদের কাজ। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এনেছে নিগৃহীতরা। কুয়ো খোঁড়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিরোধের কারণেই তাদের ওপর চড়াও হয় অপরাধীরা।
এর সঙ্গে গোরক্ষা সমিতির কোনও যোগ নেই। নিজেদের ক্ষমতা জাহির করতে নিগ্রহের ভিডিও তুলে সোশ্যাল মিডিয়াতেও আপলোড করেছে অপরাধীরা। নির্যাতনে ব্যবহৃত গাড়িটিতে শিবসেনার বোর্ড লাগানো ছিল বলেও দাবি করেছেন আলোরিয়া। অপরাধীদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ১৪৭ (দাঙ্গা), ১৪৮ (দাঙ্গায় অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবহার), ১৪৯ (প্রত্যেকে অপরাধের সঙ্গে যুক্ত), ৩৪২, ৩৬৫ (গোপন অভিপ্রায়ে অপহরণ), ৩৯৫ ( ডাকাতির শাস্তি), ৫০৪ (ইচ্ছাকৃত ভাবে শান্তিভঙ্গ) প্রভৃতি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।