রাজনীতি থেকে দূরে সরাতেই তারেককে সাজা : বিএনপি
কিরণ সেখ : তারেক রহমানের অনুপস্থিতিতে তাকে সাজা দেওয়া ন্যায় বিচারের পরিপন্থি বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। অর্থ পাচার মামলায় হাইকোর্ট এক তরফাভাবে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানকে সাজা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছে দলটি।
গতকাল শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এ অভিযোগ করেন। মাহবুব হোসেন বলেন, ২০০৯ সালে দায়ের করা অর্থ পাচার মামলায় তারেক রহমানের নাম গন্ধ ছিল না। এমনকি মামলায় তার কোনো আইনজীবীও ছিল না। আমরা গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের আইনজীবী ছিলাম। খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, তারেক রহমানের নামে কোনো ব্যাংক এ্যাকাউন্ট নেই। তিনি কোনো ঘুষ গ্রহণ করেননি বা অর্থ পাচার করেননি। তার একটাই অপরাধ তিনি রাজনীতি করেন। সরকার যখনই কোনো বিপদে পড়ে তখনই চমক সৃষ্টি করেন। সরকার বিভিন্ন সময়ে চমক সৃষ্টি করেছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পুত্র ও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর জন্যই এ সাজা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তারেক রহমান ন্যায় বিচার পাননি বলেও মনে করেন বিশিষ্ট এই আইনজীবী।
তিনি বলেন, আইনে ২০-৩০ বছর পরও ফৌজদারী মামলায় আপিল করার বিধান আছে। ফলে যখন সময় আসবে, যখন তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন তখন আপিল করা হবে। আর তিনি তখন সুবিচার পাবেন বলে প্রত্যাশা করেন মাহবুব হোসেন। এসময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ, নজরুল ইমলাম খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসূফ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. শাহজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি