সংরক্ষণাগারের অভাবে চিরিরবন্দরে বছরে নষ্ট হচ্ছে ১৫ কোটি টাকার ফল
মো. আব্দুস সালাম, চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) : দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার সব্জি ও ফল চাষে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছেন কৃষকরা। চাষীদের উৎপাদিত পটল, করলা, আলু, শিম, বেগুন, বরবটি, শশাসহ বিভিন্ন ধরনের সব্জি উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করা হচ্ছে।
চিরিরবন্দর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সব্জি চাষ হওয়ায় রাজধানীসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মহাজনেরা আসেন প্রতিদিনের সব্জিসহ বিভিন্ন পন্য ট্রাক বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলে। তবে উৎপাদিত ফল ও সব্জি সংরক্ষণের আধুনিক হিমাগার ও প্রক্রিয়াজাত করনের ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বছরে প্রায় ১০ থেকে ১৫ কোটিরও বেশী টাকার সব্জি ও ফল নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উৎপাদকেরা।
সব্জি ছাড়াও চিরিরবন্দর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ বাগানসহ বাড়ির আঙ্গিনায় খোলা জায়গা ফলদ বৃক্ষ রোপণ করে ফলের উৎপাদন বাড়িয়েছেন। এখান থেকে বাড়তি পাওয়া যাচ্ছে কলা আম, জাম, কাঁঠাল, পেয়ারা, জামরুল বরই বাতাবিলেবু, আমড়া, লিচুসহ বিভিন্ন প্রকার ফল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত ৬ থেকে ৭ বছর এ উপজেলায় ফলের গাছ লাগানোর সংখ্যা দুই থেকে তিন গুন বেশি হয়েছে। আর এ সময়ের মধ্যে সব্জি চাষের জমির পরিমাণও বেড়েছে অনেক। কিন্তু সব্জি ও ফল সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাত করণের ব্যবস্থা না থাকায় বছরে প্রায় ১০ থেকে ১৫ কোটি টাকারও বেশী ক্ষতি হচ্ছে বলে চাষীদের সাথে কথা বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে অত্র উপজেলার কৃষকেরা কৃষি মন্তণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেছেন। চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, চিরিরবন্দর কৃষি প্রধান উপজেলা। এ উপজেলার ৭০ ভাগ মানুষই কৃষি কাজের সাথে জড়িত। উপজেলার সব্জি ফল গম ধানসহ বিভিন্ন ফসল ব্যাপকভাবে উৎপাদন হয় কিন্তু সব্জি ও ফল সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাত করনের কোন ব্যবস্থা নেই। এ কারণে কৃষকদের সব্জি ও ফল নষ্ট হয় প্রতি বছরে। তিনি আরও জানান, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রান্তিক চাষীদের মাঝে কৃষি অফিস থেকে উন্নত জাতের ধানের বীজ সরবরাহ করা হয় এবং প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে।