রংপুরে নিখোঁজরা নিখোঁজ নয়
মোস্তাফিজাররহমান বাবলু, রংপুর : র্যাবের সরবরাহ করা তালিকায় রংপুরের ৯ জন নিখোঁজের কথা বলা হলেও, এর মধ্যে ৬ জনই নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছেন। একজন ৮ মাস ধরে কারাগারে আটক রয়েছেন এবং অন্যজন মানসিক রোগী। এছাড়াও স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দিয়ে নিখোঁজ রয়েছেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম-কমিশনের রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মশিউর রহমান (৩০)। চার মাসেরও বেশি সময় ধরে তিনি নিখোঁজ থাকায় অবশেষে শুক্রবার দুপুরে রংপুর কোতোয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার বাবা সহিদ আলী।
নিখোঁজ তালিকার শায়েস্তা খান, রেজোয়ানুর রহমান, শামিম মিয়ার, সাঈদ হোসেন, সাব্বির আহাম্মেদ আনন্দ, রেজাউল করিমের, ইকবাল হোসেন, সাদাফ ইকবাল ও নজরুল ইসলাম কেউই নিখোঁজ নয় বলে তাদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।
মশিউরের বাবা সহিদ আলী বলেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর এলাকায় তাদের আদি নিবাস। বর্তমানে ঢাকার উত্তরা মডেল টাউন এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস করছেন। চার ছেলের মধ্যে মশিউর তৃতীয়। মশিউরের স্ত্রীও সরকারি চাকরির জন্য চাঁদপুরে কর্মরত আছেন। তাদের সাড়ে তিন বছর বয়সের এক মেয়ে ও দেড় বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। মশিউর তার স্ত্রীর চাকরি করার বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি। এছাড়া পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরিবারের সঙ্গে তার মনোমালিন্য চলছিল। রংপুরে সরকারি কর্ম-কমিশন কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত থাকা অবস্থায় গত ১২ মার্চ স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান। বিষয়টি পরবর্তীতে তার অফিস থেকে জানতে পেরে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ-খবর করেও মশিউরের সন্ধান মেলেনি।
নাম প্রকাশে না করা শর্তে কর্ম-কমিশন রংপুর আঞ্চলিক অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, গত ২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর মশিউর রহমান সহকারী পরিচালক পদে রংপুরে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ঢাকা ও রাজশাহীতে কর্মরত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর মাঝে মাঝে অফিসের লোকজনদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতেন। গত ২৮ জুন তিনি অফিসের একজনের কাছ থেকে ধার নেয়া টাকা পরিশোধ করেছেন। এরপর থেকে আর কারও সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়নি।
কোতোয়ালী থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ মশিউরের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।