মাসুদ আলম : রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি)। সরকার হুজি নিষিদ্ধ করায় দলের মধ্যে ভাঙন দেখা দেয়। এরই মধ্যে নতুন ‘দাওয়াতি কার্যক্রম’ নামে তাদের কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা করে হুজি। গোয়েন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তরের হুজির সভাপতি মাওলানা নাজিমুদ্দিন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশ ঢাকা দক্ষিণের পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে কোতোয়ালী এলাকা থেকে নাজিমুদ্দিনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ গোয়েন্দা পুলিশ। অন্যরা হলেন- সদস্য আনাস (২১) ও ইঞ্জিনিয়ার সাইদুজ্জামান (২৪)। পরদিন কোতোয়ালী থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। শুক্রবার তাদের আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আাদালত চারদিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
নাজিমুদ্দিন মিরপুর জার্মান টেকনিক্যাল স্কুল মসজিদের ইমাম। পাশাপাশি আকবর কমপ্লেক্স মাদরাসার ভাইস-প্রিন্সিপাল।
তিনি আরো জানান, তারা বেশ কিছুদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন। সম্প্রতি তারা সাধারণ মানুষকে মোটিভেট করে সংগঠিত করার চেষ্টা করছিলেন। হুজির নেতারা কারাগারে থাকায় তাদের কার্যক্রম কিছুদিন নিস্ক্রিয় ছিল। তাদের অনেক নেতা পলাতক রয়েছেন। রাজধানীতে বড় ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল তাদের। নাজিমুদ্দিনের কাছ থেকে ৫১ হুজি সদস্যের একটি তালিকা উদ্ধার করা হয়েছে। তালিকার মধ্যে অনেক নেতা মারা গেছেন। রিমান্ডের প্রথম দিনই তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। তারা কয়েকজনের নাম বলেছেন। নিষিদ্ধ সংগঠনটিকে ফের শক্তিশালী ও সংগঠিত করতে কারা তাদের অর্থ দিচ্ছে- সে ব্যাপারেও জানার চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করে কারও বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একটি সূত্র জানায়, হুজির আমির শফিকুল ইসলাম বেশ কয়েক বছর ধরে পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি দুবাইতে আছেন। সেখানে বসে হুজিকে পরিচালনা এবং আর্থিকভাবে সহযোগিতা করছে।