শেন ওয়ার্নের তালিকায় আশরাফুল
এল আর বাদল : বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক সময়ের তুখোড় ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ আশরাফুল ভালো সম্মান পেলেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী অলরাউন্ডার শেন ওয়ার্নের কাছ থেকে। আগামী মধ্য আগস্টে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরছেন আশরাফুল। মাঠে নামার আগে কিংবদন্তি স্পিনার শেনওয়ার্নের কাছ থেকে এই সম্মান অর্জন করেন তিনি। টেস্ট খেলুড়ে প্রতিটি দেশ থেকে নিজের সময়ের একজন করে সেরা ব্যাটসম্যান নির্বাচন করেছেন ওয়ার্ন, যাদের বিপক্ষে বল করা তার কাছে কঠিন মনে হতো। এ তালিকায় নবম স্থানে আছেন স্পট ফিক্সিংয়ের দায়ে নিষিদ্ধ ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট থেকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুল। চলতি বছরের ১৩ আগস্ট উঠে যাবে তার নিষেধাজ্ঞা। দশটি দেশ থেকে দশজন খেলোয়াড়ের নাম কাগজে লিখে নিজের মাইক্রো ব্লোাগিং সাইটে পোস্ট করেছেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার। সেখানে প্রথম স্থানে রয়েছেন শচীন টেন্ডুলকার।
৪৬ বছর বয়সী ওয়ার্ন তার সময়ে ছিলেন ব্যাটসম্যানদের আতঙ্ক। হাত ঘুরিয়ে লিখেছেন শতশত কাব্য। ১৪৫ টেস্টে ৭০৮ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েন। এছাড়া ১৯৪টি ওয়ানডেতে নিয়েছেন ২৯৩টি উইকেট। ৮০০ উইকেট নিয়ে ওয়ার্নের উপরে আছেন শুধুমাত্র মুরালি ধরণ।
আশরাফুল ৬১ টেস্টে রান করেছেন দুই হাজার সাত’শ ৩৭। আছে ৬টি শতক, ৮টি অর্ধশতক। ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছেন ১৭৭ বার। তিন শতকসহ তার রান সংখ্যা তিন হাজার চার’শ ৬৮। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ২৩টি। এই ফরম্যাটে তার রান ৪৫০। ওয়ার্ন দশজন ব্যাটসম্যানের নাম পোস্ট করে লিখেছেন, অনেক ভালো ভালো ব্যাটসম্যান ছিল যাদের বিপক্ষে বল করা মোটেও সহজ ছিল না। কাদের বিপক্ষে বল করতে আমি বেশি উপভোগ করতাম সেটা বলছি হাহাহা…।
তালিকা করতে গিয়ে ওয়ার্ন দ্বিতীয় স্থানে রেখেছেন গ্রাহাম গুচকে। প্রতিটি দেশ থেকে একজন করে রাখলেও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে তিনি বলছেন দুই জনের কথা—হ্যান্সি ক্রোনিয়ে এবং জ্যাক ক্যালিস। এই দুজন রয়েছেন তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে। পঞ্চম স্থানে আছেন পাকিস্তানের শাহিদ আনোয়ার। এরপর ব্রায়ান লারা, শ্রীলঙ্কার অরভিন্দু ডি সিলভা, জিম্বাবুয়ে থেকে ডেভিড হফটন। এরপরই রয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। সবশেষে নিউজিল্যান্ড থেকে মার্টিন ক্রো।