জরুরি অবস্থায় এরদোগানের প্রথম ডিক্রি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : জরুরি অবস্থার মেয়াদ বৃদ্ধির পর প্রথম ডিক্রি বা হুকুম জারি করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। এতে বলা হয়েছে, অভ্যুত্থান চেষ্টায় জড়িত সন্দেহে কোনো ব্যক্তিকে কোনো অভিযোগ ছাড়াই আটক করে ৪ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিন পর্যন্ত আটকে রাখা যাবে। এরই মধ্যে গুলেনপন্থি ২ হাজারেরও বেশি স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জরুরি অবস্থার অধীনে পার্লামেন্টের অনুমতি ছাড়াই প্রেসিডেন্ট এরদোগান যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে ও তা কার্যকর করতে পারবেন।
এর ফলে সমাজবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন যে, তিনি বেশি স্বৈরাচারী হয়ে উঠতে পারেন। নতুন যে ডিক্রি তিনি জারি করেছেন তাতে কোনো ব্যক্তিকে আটক করে তার বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার জন্য ৩০ দিন আটক রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বেসরকারি ১০৪৩টি স্কুল ও ১২২৯টি দাতব্য প্রতিষ্ঠান ও সেবা প্রতিষ্ঠান। সরকারের ধারণা, এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে যোগসূত্র রয়েছে ফেতুল্লাহ গুলেনের। গত ১৫ জুলাই যে অভ্যুত্থান চেষ্টা হয় তার মূলহোতা বলে সরকার মনে করছে এই ধর্মীয় নেতাকে। কিন্তু তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাকে দেশে ফেরত পাঠাতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আবেদন করেছে তুরস্ক। জবাবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, উপযুক্ত আইনি প্রমাণ দিতে পারলে তাকে ফেরত পাঠাবে তারা। অভ্যুত্থান চেষ্টা পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৬০ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত, আটক বা তদন্তের অধীনে রাখা হয়েছে। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা