বিচারককে আপত্তিকর এসএমএসকারীর সাত বছরের কারাদ-
মামুন খান : মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে রংপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুন্নাহার কাকলীকে মানহানিকর ও আপত্তিকর ম্যাসেজ দেওয়ার অভিযোগের মামলায় রেজওয়ানুল হক রিপন নামে এক আসামিকে ৭ বছরের কারাদ-ের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম শামসুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে রিপনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে । জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ৬ মাসের কারাভোগ করতে হবে। রায় ঘোষণাকালে কারাগারে আটক রিপনকে আদালতে হাজির করা হয়। কারাদ-প্রাপ্ত রিপন রংপুরের বাগপুরের পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, মশিউর রহমানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আসামি রেজওয়ানুল হক রিপন রংপুর আদালতে দুটি মামলা করেন। ওই মামলায় রিপন বাদী হলেও মশিউরের জামিনের জন্য বিচারক কামরুন্নাহার কাকলীর মোবাইলে ২০১৫ সালের ১০ ও ১২ মে কিছু মানহানিকর ও আপত্তিকর ম্যাসেজ পাঠান এবং তার জামিন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। ওই এসএমএসটি পাওয়ার পর বিচারক মামলার নথি দেখেন যে, এটি জামিনযোগ্যধারা। ওই ঘটনায় বিচারক রংপুরের কোতোয়ালি থানায় ১২ মে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক ফেরদৌস ওয়াহিদ ওই বছরের ৩০ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর আসামি রেজওয়ানুল হক রিপনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচারকার্য চলাকালে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম