নারায়ণগঞ্জে শরীরে বাতাস ঢুকিয়ে শিশুশ্রমিক হত্যা
নুরুল আজিজ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জে এক শিশুর শরীরে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার দুপুরে জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার যাত্রামোড়া এলাকায় জোবেদা গার্মেন্টে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম সাগর বর্মণ (১০)। তার বাবার নাম রতন বর্মণ। তাদের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কালিয়াজুড়ি উপজেলার গাজীপুর গ্রামে। সে ওই গার্মেন্টে সুতা সেকশনে কাজ করতো।
নিহত শিশুর বাবা রতন বর্মণ জানান, তিনি ও তার ছেলে জোবেদা গার্মেন্টে চাকরি করেন। রোববার দুপুর দেড়টায় কয়েকজন মহিলা শ্রমিক তাকে এসে জানান, তার ছেলের শরীরে বাতাস ঢুকানো হচ্ছে।
তিনি জানান, এই খবর পেয়ে তিনি সবুজ নামের অপর এক সহকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। পরে তিনি সাগরকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ছেলেকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঢামেক হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ফিরোজ আহমেদ জানান, বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির পেট ফোলা ছিল।
কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা কিবরিয়া বলেন, শ্রমিকদের বার বার বলা হয় কমপ্রেসারের হাওয়া দিয়ে শরীরের ময়লা পরিষ্কার না করতে। তারপরও তারা কথার অবাধ্য হয়ে তারা কমপ্রেসারের হাওয়া দিয়ে শরীরের ময়লা পরিষ্কার করে থাকে। সাগর বর্মণ কাজ শেষে শরীর পরিষ্কার করতে গিয়ে হয়তো কমপ্রেসারের হাওয়া মুখ দিয়ে শরীরে ঢুকে যায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ধরনের ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট খুলনা শহরের টুটপাড়ায় একটি ওয়ার্কশপে রাকিব নামে এক শিশুর পায়ুপথে বাতাস ঢুকিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। সম্পাদনা : প্রিয়াংকা