ডেস্ক রিপোর্ট : সরকার প্রকাশিত কথিত নিখোঁজ জঙ্গি শেহজাদ রউফ অর্ক ও তাওসীফ হোসেন বাংলাদেশেই আছেন বলে মনে করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলায় ঘরছাড়া তরুণদের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর গত ১৭ জুলাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিখোঁজদের যে দ্বিতীয় তালিকা দিয়েছিল, তাতে নাম আসে শেহজাদ ও তাওসীফের। বিডিনিউজ
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রমতে, বাড়ি থেকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি উধাও এই দুই সন্দেহভাজন তরুণের পাসপোর্ট ধরে খোঁজ নিয়ে গোয়েন্দারা নিশ্চিত যে, এই দুজন দেশত্যাগ করেননি।
এই দুই হামলার সময় নিহত নিবরাজ ও আবীরের সঙ্গে এই দুজনও ঝিনাইদহের সেই মেসে থাকতেন বলে ধারণা জঙ্গি-তদন্তেসংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। তারা বলছেন, ওই মেসে থাকা সবাই এই দুটি হামলায় জড়িত ছিলেন এবং তারা সবাই এখনও দেশেই রয়েছেন।
এই বিষয়ে পুলিশের কোনো কর্মকর্তা মুখ খুলতে না চাইলেও ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া গতকাল রোববার বলেছেন, গুলশান হামলার রহস্য ‘উদঘাটিত’, জড়িতদের গ্রেফতার এখন ‘সময়ের ব্যাপার’।
গত ফেব্রুয়ারিতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র নিবরাজ ও আবীর ঝিনাইদহ শহরের যে মেসটিতে থাকতেন, সেখানে আরও ছয়জন ছিলেন।
ঈদের আগে জুন মাসের শেষ দিকে ওই আটজনই মেস ছেড়েছিলেন, পরে আর ফেরেননি বলে বাড়ির মালিক জানান।
গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার তদন্তে র্যাব সম্প্রতি বগুড়ার দুর্গম চরে জঙ্গিদের আস্তানার সন্ধানে অভিযান চালায়।
ধারণা করা হচ্ছে, ঝিনাইদহ থেকে গিয়েই ওই চরে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন জঙ্গিরা এবং পরে গুলশান ও শোলাকিয়ায় ‘অপারেশনে’ যান। বগুড়ায় যমুনার চরে ওই প্রশিক্ষণে তাওসীফ ও শেহজাদও ছিলেন বলে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ধারণা।
নিবরাজের সঙ্গেই মালয়েশিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন শেহজাদ। তার বাসা ঢাকার বারিধারায়। তার বাবার নাম তৌহিদ রউফ।
নিখোঁজদের তালিকায় থাকা অনেকে জঙ্গি তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েছেন বলে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ সম্প্রতি বলেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ বিদেশে রয়েছেন বলেও তথ্য মিলছে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম